দ্বিতীয় সেশনের শুরু থেকেই ইতিবাচক ব্যাটিং করে দ্রুত রান তুলছিলেন পাকিস্তানের দুই ব্যাটার ফাওয়াদ আলম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু তাদের ইনিংস ঘোষণার পর সেশনের বাকি সময়ে বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য যে বধ্যভূমিই হয়ে উঠেছে মিরপুরের উইকেট।
তাই তো চা পানের বিরতির আগে ১০.১ ওভারেই সাজঘরে ফিরে গেছেন বাংলাদেশের তিন ব্যাটার, স্কোরবোর্ডে উঠেছে মাত্র ২২ রান। পাকিস্তানের করা ৩০০ রানের চেয়ে এখনও ২৭৮ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। সাজঘরে ফিরেছেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয় এবং অধিনায়ক মুমিনুল হক।
পাকিস্তানের ৩০০ রানের জবাবে সাদমান ইসলাম অনিকের সঙ্গে ওপেনিংয়ে পাঠানো হয়েছিল অভিষিক্ত জয়কে। বাংলাদেশের ৯৯তম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে খেলতে নেমেছিলেন জয়। ফিল্ডিংয়ে তার হাতে যায়নি কোনো ক্যাচ। ব্যাটিংয়ে নেমেও খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে তাকে।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাত বলে শূন্য রানে আউট হয়েছেন জয়। শাহিন শাহ আফ্রিদির করা প্রথম ওভারটি পুরোটা মেইডেন খেলেন সাদমান। পরের ওভার থেকে স্পিন আক্রমণের দিকে আগায় পাকিস্তান। নৌমান আলির করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারটি কাটিয়ে দিতে তেমন সমস্যা হয়নি জয়ের।
সাজিদ খানের করা পরের চতুর্থ বলে এক রান নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস শুরু করেন সাদমান। কিন্তু পরের বলেই অফস্ট্যাম্পের বাইরের ডেলিভারি আউটসাইড হয়ে প্রথম স্লিপে ধরা পড়েন অভিষিক্ত। ফলে রানের খাতা খোলার আগেই শেষ হয়ে যায় ২১ বছর বয়সী এ তরুণ অভিষেক ইনিংস।
এরপর থেকে দুই প্রান্তেই স্পিন দিয়ে বিরতির আগপর্যন্ত চালিয়ে নেয় পাকিস্তান। নৌমান-সাজিদের টার্ন ও বাউন্সে বারবার পরাস্ত হতে থাকেন সাদমান ও তিন নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত। তবু তুলনামূলক স্বচ্ছন্দ ছিলেন শান্ত। আলগা বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন তিনি।
কিন্তু ইনিংসের নবম ওভারে সাজিদের লাফিয়ে ওঠা বলে স্কয়ার কাটের চেষ্টায় পয়েন্টে ধরা পড়েন সাদমান। তার ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৩ রান। এক ওভার পর মুমিনুল কাঁটা পড়েন রানআউটে। সরাসরি থ্রোয়ে এক রান করা মুমিনুলের বিদায়ঘণ্টা বাজান হাসান আলি।
চা পানের বিরতি পর্যন্ত ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন শান্ত। বিরতির পর তাকে সঙ্গ দিতে নামবেন মুশফিকুর রহিম।