প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশে টিকার বুস্টার ডোজ আজ থেকে দেওয়া শুরু হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে সীমিত পরিসরে রাজধানী ঢাকায় এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে, পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এর পরিধি বাড়ানো হবে।
এর আগে গত সপ্তাহে পরীক্ষামূলকভাবে বুস্টার ডোজ দেওয়া হলেও এবার নাগরিকদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে। আজ থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসক, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী এবং বয়স্কদের বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে। দেশে বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। যাদের টিকা দেওয়া হবে তারা এসএমএস পাবেন।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিঞা জানান, ‘মঙ্গলবার থেকে ষাটোর্ধ্ব, প্রবাসীকর্মী ও সম্মুখ সারির যোদ্ধারা এ টিকা পাবেন। যাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কমপক্ষে ৬ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে তারা বুস্টার ডোজের জন্য এসএমএস পাবেন। ওমিক্রন থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে হবে এবং মাস্ক পরতে হবে। এ বিষয়ে আমরা স্থানীয় ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়েও কথা বলেছি, যাতে সেসব এলাকার সর্বস্তরের মানুষ ভ্যাকসিন নেয়।’
কতজনকে কীভাবে বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে- এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ৫ অনুপাত ১- এই পদ্ধতিতে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। অর্থাৎ, টিকা কেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাঁচজনকে দেওয়া হবে প্রথম অথবা দ্বিতীয় ডোজ আর বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে একজনকে।
গত ২৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ও এমএনসিএন্ডএএইচ লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম মঙ্গলবার থেকে শুরু করার বিষয়টি নিশ্চিত করে এ সংক্রান্ত বিধানাবলী প্রকাশ করা হয়।
এদিকে, সোমবার রাত ৯টার দিকে দেখা যায়- তৃতীয় অর্থাৎ বুস্টার ডোজের কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে টিকা নেওয়ার তথ্যভাণ্ডার সুরক্ষা অ্যাপ সফটওয়্যার। সেখানে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের পর যুক্ত হয়েছে তৃতীয় ডোজের নতুন অপশন।
গত ১৯ ডিসেম্বর দেশে পরীক্ষামূলকভাবে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু হয়। সেখানে প্রথমে বুস্টার ডোজ নেন দেশে প্রথম করোনার টিকা গ্রহণকারী কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা ডি কস্টা। স্বাস্থ্য অধিদফতর বুস্টার ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও মডার্নার টিকা বেছে নিয়েছে।