করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে স্বাস্থ্যবিধি পালনের ওপর জোর দিচ্ছে সরকার। সোমবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ‘ওমিক্রন’ ইস্যুতে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। ঘণ্টাব্যাপী হওয়া বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্তও হয়েছে।
আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে আরও যেসব আলোচনা হয়েছে সেগুলো হলো-স্থল, সমুদ্র ও বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের সংখ্যা বাড়ানো, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের পুলিশ পাহারায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জনসমাগম সীমিত করা, গণপরিবহনে যাত্রী সংখ্যা কমিয়ে আনা এবং মসজিদসহ সব স্থানেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা।
সরকার ওমিক্রন নিয়ে উদ্বিগ্ন, তবে এখনই লকডাউন দেওয়া না হলেও রেস্তোরাঁয় বসে খেতে হলে টিকা সনদ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘লকডাউনের বিষয়ে আমরা সুপারিশ করিনি। লকডাউনের পরিস্থিতি এখনো হয়নি। লকডাউনের ঐ পর্যায়ে যাতে যেতে না হয়, সে জন্যই এ প্রস্তুতি সভা। যা যা স্টেপ নেওয়ার তা নিব, তারপর দেখা যাক। এখনই লকডাউনের বিষয়ে ভাবছি না। এখন আমরা জোর দেব প্রতিরোধের বিষয়ে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাস্ক না পরলে জরিমানা করা হবে। টিকা না নিয়ে থাকলে রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া যাবে না। সেখানে খেতে হলে টিকা সনদ দেখাতে হবে। তবেই রেস্টুরেন্ট তাকে এন্টারটেইন করবে। টিকা সনদ ছাড়া কাউকে খাবার পরিবেশন করলে সেই রেস্তোরাঁকে জরিমানা করা হবে।’
স্কুল খোলা রাখা হবে কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকা নেওয়ার ওপর জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, লক্ষ্য করা গেছে, শিক্ষার্থীরা টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে তেমন আগ্রহী নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে কেমন ধরনের কড়াকড়ি আসছে, তা ১৫ দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ থেকে প্রজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর থেকে পুরো বিশ্বেই আবার সংক্রমণ বাড়ছে। ইতিমধ্যে আমেরিকা, ইউরোপ, ও ভারতসহ বিশ্বের অন্তত ১০৬টি দেশে পৌঁছে গেছে ওমিক্রন। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে সাত জন ওমিক্রনে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন।