২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১১:৫০
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১১:৫০

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের ১ম জয়

ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম টেস্ট জয়ের রেকর্ড গড়ল টাইগাররা। আজ বুধবার কিউইদের ৮ উইকেটে পরাজিত করেছে মুমিনুল বাহিনী। এমন ইতিহাস গড়া কীর্তির নায়ক পেসার এবাদত হোসেন চৌধুরী। ২১ ওভারে ৬ মেডেনে ৪৬ রানের খরচায় ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

অথচ সেদিনও সমালোচনা করা হতো এবাদতের। তার বলে তেমন সুইং নেই। ভালো বাউন্স কিংবা বোলিংয়ে ভ্যারিয়েশন আনতেও খুব একটা পারদর্শী নন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছুদিন আগেও ট্রল হয়েছিলেন তিনি।

আর সেই বোলারই ইতিহাসের সাক্ষী হলেন। নিউজিল্যান্ডের ইনিংস ধসিয়ে দিয়ে দেশটির মাটিতে প্রথমবারের মতো জয়ের পতাকা গাড়লেন।

চতুর্থ দিন থেকেই জয়ের সুঘ্রাণ পাচ্ছিল বাংলাদেশ। পঞ্চম দিনটার অপেক্ষায় ছিল বাংলাদেশের পেসাররা।

মঙ্গলবার চতুর্থ দিনের খেলা শেষে কিপার-ব্যাটার লিটন দাস বলেন, ‘আগামীকাল (আজ) নতুন দিন। উইকেট সহজ হবে না। আমাদের চেষ্টা থাকবে যত কমে তাদের অলআউট করে সেই রান তাড়া করা।’

লিটনের আশাকেই বাস্তবায়ন করলেন বাংলাদেশের পেসাররা।

আজ শুরুতেই যেন জয়ের স্বপ্নটাকে আরো গাঢ় করে তোলেন এবাদত। জোড়া আঘাত হানেন কিউই শিবিরে।

৫ উইকেটে ১৪৭ রান নিয়ে আজ ব্যাট হাতে নামে নিউজিল্যান্ড। অপরাজিত ছিলেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং স্তম্ভ রস টেলর।

দেখার বিষয় ছিল কত দূর যেতে পারেন তিনি। কিন্তু সেই ‘লম্বা রেসের ঘোড়া’শুরুতেই সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান এবাদত। ভেতরে ঢোকা বল টেলের ব্যাটে হালকা ছুঁয়ে উড়িয়ে দেয় বেলস। ৩৭ রানে দিন শুরু করা ব্যাটসম্যান বিদায় নেন আর ৩ রান যোগ করেই।

এর পর এবাদতের শিকার জেমিসন। রানের খাতাই খুলতে পারেননি এ টেলএন্ডার। তার আগেই শরিফুলের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন।

লেগ স্টাস্পে থাকা এবাদতের ডেলিভারি ফ্লিক করেন কাইল জেমিসন। মিড উইকেটে শরীর শূন্যে ভাসিয়ে দুর্দান্ত ক্ষীপ্রতায় বল তালুবন্দি করেন শরিফুল।

জেমিসনকে আউট করার মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো এক ইনিংসে ৬ উইকেট পান এবাদত। ৫৬ রানে ৬ উইকেট, যা তার ক্যারিয়ারসেরা।

এরপর টিম সাউদির উইকেট উড়িয়ে দেন পেসার তাসকিন। ৪ বল মোকাবিলা করে সাউদি রানের খাতা খুলতেই পারেননি।

অপেক্ষা ছিল শুধু কত দ্রুত গুটিয়ে ফেলা যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের। দ্রুতই কাজ সারলেন মিরাজ। নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের কফিনে শেষ প্যারেক ঠুকে দেন।

৭৩.৪ ওভারে মিরাজের বলে শট খেলতে গিয়ে তাইজুলের হাতে ধরা দেন বোল্ট। বাউন্ডারিতে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ ধরলেন সাবস্টিটিউট হিসেবে নামা তাইজুল ইসলাম। ১৩ বলে ৮ রানের ইনিংস উপহার দেন বোল্ট।

দিনের শুরুতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৫ উইকেট, বোলাররা সময় নিল মাত্র ১০ ওভারের একটু বেশি। এবাদত ও তাসকিন দুর্দান্ত বোলিংয়ে বেশি দূর এগোতে পারেনি নিউজিল্যান্ড ।

এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩২৮ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। জবাবে ৪৫৮ রান করে ১৩০ রানের লিড পায় টাইগাররা।

দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১৬৯ রান। অর্থাৎ ২ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান পূরণ করে কাঙ্ক্ষিত জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

Facebook
Twitter
LinkedIn