বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এসময় তার সঙ্গে বোন শেখ রেহানাও শ্রদ্ধা জানান।
১৯৭২ সালের এ দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করে বাংলাদেশের মাটিতে পৌঁছান। এর আগে ভারতের দিল্লিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন এবং দেশটির হিন্দিভাষী জনসাধারণের আগ্রহে বাংলা ভাষায় ভাষণ দেন। প্রতি বছরই দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ। এবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ৫০ বছরে এসেও দলটি সাড়ম্বরে দিনটি পালন করেছে।
বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ, বঞ্চনা আর নির্যাতনের সাহসী প্রতিবাদ করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। কারাগারে নিজের কবর খনন করতে দেখেও বিচলিত হননি তিনি। শুধু বলেছিলেন- দেশের মাটিতে আসতে চাই। এ দেশের মা ও মাটির গন্ধ নিতে চাই। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর অবশেষে পাকিস্তানিদের ওপর বিজয় অর্জন করে বাঙালি। বিজয়ের আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওঠে জাতি। কিন্তু কোথাও অপূর্ণতা রয়েই গিয়েছিলো। আর সে অপূর্ণতা হলো স্বাধীন মাতৃভূমিতে জাতির পিতার অনুপস্থিতি। জাতির পিতা কারাগারে থাকায় বিজয়ের আনন্দ যেন ম্লান হয়ে যাচ্ছিলো। অবশেষে ‘রাজনীতির কবি’ ফিরলেন আপন মাতৃভূমিতে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের আনন্দ পূর্ণতা পায় ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি।
এ কথা শিরোধার্য যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিলো স্বাধীনতার দূরদর্শী রূপরেখা। আর ২৬ মার্চ বর্বর পাক-সেনারা নিরস্ত্র বাঙালির ওপর সশস্ত্রভাবে ঝাঁপিয়ে পড়লে গ্রেপ্তার হওয়ার পূর্বমুহূর্তে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র লিখে তারবার্তা সহযোগে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেন।
এরপর জাতির পিতার স্বাধীনতার ঘোষণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অংশ নেন বাঙালিরা। অবশেষে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। বিশ্বের মানচিত্রে অঙ্কিত হয় নতুন এক দেশ- বাংলাদেশ।