২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৯:৩৯
২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৯:৩৯

ভাড়া বাড়াতে চান পরিবহন মালিকরা

করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে সরকার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলার যে নির্দেশনা দিয়েছে, তা পালন করতে ভাড়া বাড়াতে চাইছেন পরিবহন মালিকরা। মহামারীর মধ্যে গত বছর এবং তার আগের বছর অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলার সময় ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।

এবারও তেমনটি চান বাস ও লঞ্চ মালিকরা; যদিও ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর গত বছরের শেষ ভাগে বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ এবং লঞ্চের ভাড়া ৩৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাবের পর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে সোমবার নতুন করে কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ট্রেন, বাস ও লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নেয়া যাবে। সব ধরনের যানের চালক ও সহকারীদের বাধ্যতামূলকভাবে করোনাভাইরাসের টিকার সনদধারী হতে হবে।

আগামী ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া অবধি এই নির্দেশনা কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলতে হলে ভাড়াও বাড়াতে হবে, বলেছেন বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বাদল।

তিনি বলেন, ‘অতীতে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছাড়তে হয়েছে, কিন্তু ব্যবসার বারোটা বেজেছে তখন। ৬০ শতাংশ ভাড়া বেশি নেওয়া হয়েছে, কিন্তু যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। আর অনেক গরিব যাত্রী লঞ্চে উঠে বলেছে, এত টাকা দেয়ার সামর্থ্য নেই।’

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চললে তেলের পয়সাও হবে না। এর আগে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলার সিদ্ধান্ত আসার পর ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল।’

বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষও বলেন, ‘গাড়ি চালাতে হলে তেল-মবিল, ড্রাইভারের খরচ দিতে হয়। এর আগে অ্যাসেসমেন্ট করে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।’

‘এবার কী হবে, এখনও জানি না। সরকার কী নির্দেশ দেয়, তার অপেক্ষায় আছি। যদি গাড়ি চালানোর মতো হয়, তাহলে মালিকরা চালাবে। না হলে মালিকরা তো বাড়ি থেকে টাকা এনে গাড়ি চালাবে না।’

বাস মালিকদের নেতা এনায়েত উল্যাহ বলেন, তারা প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়টি জেনেছেন, তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো নির্দেশনা পাননি।

‘সরকার আমাদের কী নির্দেশনা দেয়, তা জানার পর আমাদের অবস্থান জানাব।’

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কার্যকারিতার তারিখসহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এ নিয়ে একটি নির্দেশনা দেবে।

‘এটা যেহেতু ১৩ তারিখ থেকে কার্যকর হবে, সে ক্ষেত্রে আরও দুদিন সময় আছে… মিনিস্ট্রি থেকে যেভাবে সিদ্ধান্ত আসবে, আমরা সেভাবেই কাজ করব।’

Facebook
Twitter
LinkedIn