বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সমাবেশের উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে প্রক্টরিয়াল টিমের বাধায় সেখানে বেশি সময় অবস্থান করতে পারেননি তারা।
পরে তারা রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান নেন। এসময় তারা ‘দাবি মোদের একটাই, ঢাবিতে সেকেন্ড টাইম চাই’, ‘দিতে হবে দিতে হবে, সেকেন্ড টাইম দিতে হবে’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে মানতে হবে’, ‘উই ওয়ান্ট সেকেন্ড টাইম’ স্লোগান দেন।
প্রশাসনিক ভবনের সামনের অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা বাধা দিয়েছেন। এটা আমাদের যৌক্তিক দাবি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টর স্যার আশ্বাস না দেওয়া পর্যন্ত আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।
উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থানকালে মনিপুর কলেজের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন সরকার বলেন, ‘যারা প্রথমবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ভালো বিষয় পায় না, তাদের মধ্যে অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মাথায় রেখে যুগোপযোগী বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের পড়তে চাওয়াটা স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার মতো নম্বর কর্তন করার বিধান রেখে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিতে পারেন।’
মাইজদী পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী মুহিদুল ইসলাম দাওদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড দাবি করে, কিন্তু সেকেন্ড টাইম পরীক্ষার সুযোগ দিতে পারে না। আমরা কেউ এমন না যে পড়ালেখা করিনি। আমাদের সুযোগ দেওয়া হোক। আমরা বিশ্বাস করি, আবার পরীক্ষা দিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবো।’ একইসঙ্গে মেডিক্যালে সেকেন্ড টাইমে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন পারবে না—এমন প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই শিক্ষার্থী।
উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা না করে যাবেন না বলে ঘোষণা দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন এসে শিক্ষার্থীদের দু’জন প্রতিনিধিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে নিয়ে যান। সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের শিক্ষার্থী ঋতু আক্তার ও মাইজদী পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী মুহিদুল ইসলাম দাউদ উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন।
সাক্ষাৎ শেষে তারা বলেন, উপাচার্য বলেন যে, সিন্ডিকেট মিটিংয়ে কেউ বিষয়টি উত্থাপন করলে আলোচনা করা হবে এবং প্রেস রিলিজের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। সিদ্ধান্তে সেকেন্ড টাইম ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ না দেওয়া হলে তারা আবারও আন্দোলনে নামবেন বলে ঘোষণা দেন।