প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে আফগানিস্তানের পশ্চিম প্রান্ত। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে রিখটার স্কেলে ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটির বাদঘিস প্রদেশ কেঁপে উঠে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও অনেকেই হতাহত বলে জানা গেছে।
বাদঘিস প্রদেশের মুখপাত্র বাজ মোহাম্মদ সারওয়ারি বলেন, কাদিস জেলায় বাড়ির ছাদ ধসে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে পাঁচ জন নারী ও চার শিশু রয়েছে। এছাড়াও আহত হয়েছেন চার জন। ওই প্রদেশের মুক্বর জেলাতেও ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
তিনি আরও জানান, প্রথম উদ্ধারকারী দলটি ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় পৌঁছেছে। তুর্কমেনিস্তানের সীমান্তবর্তী বাদঘিস একটি পার্বত্য প্রদেশ এবং আফগানিস্তানের সবচেয়ে দরিদ্র ও অনুন্নত অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি হওয়ায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম ভূমিকম্পের ২ ঘণ্টা পর ৪.৯ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প হয়।
আফগানিস্তান তালেবানের দখলে আসার পর এমনিতেই মানবিক বিপর্যয়ের কবলে পড়েছে দেশটি। কারণ পশ্চিমা দেশগুলো আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে এবং বিদেশে থাকা সম্পদও আটকে দিয়েছে। এরইমধ্যে এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় সেখানের মানুষের সমস্যা আরও বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০১৫ সালে প্রবল ভূমিকম্পে আফগানিস্তানে ২৮০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। পার্বত্য এলাকায় ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৫ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। সেই ভূমিকম্পের প্রভাব পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় দেখা দিয়েছিল। আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানেও অনেকের প্রাণহানি হয়েছিল।
এদিকে আফগানিস্তানে ফৈজাবাদে শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে ভূমিকম্প হয়েছিল। যদিও ওই ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ওই দিন রিখটার স্কেলে ৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল আফগানিস্তানের ফৈজাবাদ। শুক্রবারের ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ফৈজাবাদ থেকে ১১৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে।
শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভাতেও জোরাল কম্পন অনুভূত হয়েছিল। কম্পন অনুভূত হয়েছিল রাজধানী জাকার্তাতেও। তবে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওই ভূমিকম্পে সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই বলেও সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছিল।