ভুয়া সনদ নিয়ে কারা ব্যবসা করছে নজর রাখছে দুর্নীতি দমন কমিশন জানিয়েছেন সংস্থাটির সচিব মাহবুব হোসেন। বুধবার রাজধানীর সেগুন বাগিচা থেকে ভুয়া সনদধারী সাত চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে দুদক। পরে তাদের পাঠানো হয় কারাগারে।
ভুয়া চিকিৎসকরা হলেন- ইমান আলী, সুদেব সেন, তন্ময় আহমেদ, মোক্তার হোসেন, মো. কাওছার, রহমত আলী ও মাসুদ পারভেজ।
তাদের কাছে চীনের তাইশান মেডিকেলের এমবিবিএস পাসের ভুয়া সনদ ছিল। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ভুয়া ১২ চিকিৎসক, বিএমডিসির ২ কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করে দুদক।
মামলার এজহারে বলা হয়, আসামিরা টুরিস্ট ভিসায় চীনে ঘুরতে গিয়ে স্কুল অব ইডুকেশন তাইশান মেডিকেল না পড়েই ভুয়া সনদ তৈরি করে।
২০১৬ থেকে ২০১৮ মধ্যে কেউ চীনে গিয়েছেন পর্যটক কেউ বা শ্রমিক হিসাবে। ১ মাসের বেশি কেউ অবস্থান করেননি। কয়েকজন আবার কখনো যাননি চীনে। কিন্তু সবারই রয়েছে চীনের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন তাঈশান মেডিকেল ইউনিভার্সিটির ডাক্তারের সদন। দুদকের হট লাইন ওয়ান জিরো সিক্সে আসা এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে নামে সংস্থাটি।
২০১৯ সালে, ১২ জনের তথ্য যাচাই-বাছাই করতে বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসকে অনুরোধ জানায় দুদক। পরে জানা যায় সবার সনদই ভুয়া। এক বছর পর, এমবিবিএস রেজিস্ট্রেশন দেয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
ভুয়া সনদে চিকিৎসা বাণিজ্য চালিয়ে যেতে পারেন এমন আশঙ্কায় ৭ ৭ জনকে সেগুনবাগিচা থেকে গ্রেপ্তার করে দুদকের উপ-পরিচালক সেলিনা আক্তার।
সচিব জানান ভুয়া সনদের নেয়ার অভিযোগে বাকি পাঁচজনকে গ্রেপ্তার তৎপর দুদকের গোয়েন্দারা। এছাড়াও বেশ কিছু ভুয়া সনদ নেয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।