২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সন্ধ্যা ৬:২৬
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সন্ধ্যা ৬:২৬

‘কেউ স্বাস্থবিধি মানছে না, রোগীর সংখ্যা শনাক্তের চেয়ে অনেক বেশি’

দেশে শনাক্ত হওয়া করোনা রোগীর চেয়ে প্রকৃত সংখ্যা বহু গুণ বেশি বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, সবাই পরীক্ষা করাচ্ছেন না। ওমিক্রন ‘মৃদু’ বলে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করছেন। রবিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে মহাখালীতে বিসিপিএস অডিটোরিয়ামে কভিড-১৯ এর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে হয়তো আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ সবাই পরীক্ষা করায় না। ১০ থেকে ১৫ হাজার লোক পরীক্ষা করছে, যার কারণে আমরা বুঝতে পারছি। আক্রান্তের সংখ্যা আমি মনে করি আরও বহু গুণে বেশি। আমরা বেপরোয়াভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছি, সেই ঘোরার কারণে আমরা অন্যদেরও সংক্রমিত করছি।’

তিনি বলেন, আমরা দেখছি- কক্সবাজারে যাচ্ছে, বাণিজ্য মেলায় যাচ্ছে, বিয়ে হচ্ছে, কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। তাহলে তো সংক্রমণের হার বাড়বেই! দফতরগুলো অর্ধেক লোকবল দিয়ে চালানোর কথা বলেছি, অথচ বাইরে আমরা ঘুরে বেড়াচ্ছি, মাস্ক পরছি না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ যদি স্বাস্থ্যবিধি না মানে তাহলে আমরা সংক্রমণ-মৃত্যুর হার কমাতে পারবো না। ওমিক্রন মৃদু বলে উড়িয়ে দিলে চলবে না। যেখানে ৪-৫ জনের মৃত্যু হতো এখন ২০ জনের মৃত্যু হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘মেলা, কক্সবাজারে দেখি বাচ্চাদের নিয়ে যাচ্ছে। স্কুল বন্ধ এদিকে, আর ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছে। এই জিনিসটা কিন্তু দুঃখজনক। অভিভাবকদের বলবো, এ বিষয়ে আপনারা খেয়াল করেন। বাচ্চারাও সংক্রমিত হচ্ছে।’

করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২০ গুণ বেড়ে গেছে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, ‘পৃথিবীতে যেভাবে ওমিক্রন ছড়িয়ে গেছে, বাংলাদেশেও ছড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার লোক আক্রান্ত হচ্ছে, আগে ছিল মাত্র ৪০০ থেকে ৫০০। অর্থাৎ আক্রান্তের হার প্রায় ২০ গুণ বেড়ে গেছে, এটা আশঙ্কাজনক।’

সতর্ক করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে, মৃত্যুর হারও বাড়বে। এখন প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন গড়ে মৃত্যুবরণ করছে। আমরা বলে থাকি মৃদু, কিন্তু সঠিক নয়। এ ধরনের মানসিকতা থাকলে সংক্রমণ বাড়বে, মৃত্যু বাড়বে। হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওমিক্রন আসার আগে আমাদের দেশে হাসপাতালে ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী থাকতো বা তার চেয়েও কমে গিয়েছিলো। এখন সেটা আড়াই থেকে ৩ হাজারে উঠে গেছে।’

Facebook
Twitter
LinkedIn