করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতিতে ১৪ দিনের পরিবর্তে ১০ দিন কোয়ারেন্টিন থাকা যাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। রবিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ কথা বলেন।
বুলেটিনে তিনি বলেন, করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ এলে আমরা এখন ১০ দিনের জন্য আইসোলেশনের কথা বলছি। জ্বর ভালো হয়ে গেলে, উপসর্গগুলো চলে গেলে ১০ দিন পরে তিনি আবার কাজে ফিরে যাবেন। আগে শর্ত হিসেবে আরটি-পিসিআর সনদ নিয়ে যেতে হতো, সেটি আপাতত আমরা স্থগিত রাখছি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের এ মুখপাত্র আরও বলেন, ওমিক্রনের উপসর্গ নিয়ে বিভিন্ন সময় আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। খুব গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গগুলো হলো, নাক দিয়ে পানি পড়া, মাথা ব্যথা, অবসন্নতা, হাঁচি, গলা ব্যথা, কাশি—এই বিষয়গুলো কারো থাকলে পরীক্ষা করাতে হবে। ঠান্ডা লেগে কারো গলা ভেঙে গেছে বা কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসছে, সেসব ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত এবং চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা করিয়ে যার প্রয়োজন তাকে হাসপাতালে যেতে হবে। যার ক্ষেত্রে বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করা সম্ভব তিনি সেভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।
তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। যারা আগে থেকেই দীর্ঘ মেয়াদি রোগে ভুগছেন, করোনায় আক্রান্ত হলে তারা অবশ্যই চিকিৎসকের সংগে যোগাযোগ করবেন।
ডা. নাজমুল ইসলাম আরও বলেন, ‘টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর করোনা শনাক্ত হওয়ার ছয় সপ্তাহ পর বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে।’
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘যারা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর বুস্টার ডোজের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন, যাদের কাছে এসএমএস এসেছে, তারা যদি করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে নিতে না পারেন তাহলে করোনা শনাক্ত হওয়ার ছয় সপ্তাহ পরে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।
আগেই জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ছয় মাস পরই শুধু বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে। ইতিমধ্যে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, এমন ব্যক্তিরাই বুস্টার ডোজ হিসেবে তৃতীয় ডোজ পাচ্ছেন। এ জন্য নতুন করে নিবন্ধনের দরকার হচ্ছে না।