চিত্রনায়ক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণ আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। আপিল বিভাগের চেস্বার আদালতের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনের উপর স্থিতিবস্থা জারি করেছেন আদালত।
আজ বিকেলে হাইকোর্টে আদেশের বিরুদ্ধে নিপুণের আবেদনের দির্ঘ্য শুনানি হয়। শুনানিতে নিপুণের পক্ষে আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহামুদ ও জায়েদ খানের পক্ষে আহসানুল করিম শুনানি করেন।
এর আগে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ নির্বাচনী আপিল বোর্ড কর্তৃক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন। এছাড়া নিপুণের অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচনী আপিল বোর্ডকে সিদ্ধান্ত নিতে সমাজসেবা অধিদপ্তর যে চিঠি দেয় তার কার্যকারিতা স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
এই আদেশের পর জায়েদ খানের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ‘শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবেন এবং তার কাজে কেউ বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না।’
গত ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে শনিবার ভোরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহিদুল হারুন এফডিসিতে ফলাফল ঘোষণা করেন। তাতে গত দুই মেয়াদে শিল্পী সমিতির সভাপতি থাকা মিশা সওদাগরকে ৪৩ ভোটে হারিয়ে এবার সভাপতি হন ইলিয়াস কাঞ্চন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হারেন ইলিয়াস কাঞ্চনের প্যানেলের প্রার্থী নিপুণ আক্তার।
তবে অর্থ দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ এনে নির্বাচনী আপিল বোর্ডে জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদ বাতিলের আবেদন করেন নিপুণ। সে আবেদনে বিষয়ে নির্বাচনী আপিল বোর্ডকে সিদ্ধান্ত নিতে সমাজসেবা অধিদপ্তর চিঠি দেয়। এরপর জায়েদ খান ও চুন্নুর বিষয়ে বৈঠকে বসে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনী আপিল বোর্ড। বৈঠকে শেষে বোর্ডের প্রধান চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল বলে সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন। পরদিন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ পরিষদের বিজয়ীরা শপথ নেন।