২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সন্ধ্যা ৭:৪৬
২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সন্ধ্যা ৭:৪৬

আর বিব্রত হতে চাই না: রুবেল

‘সিনিয়র শিল্পী হিসেবে খুবই বিব্রত বোধ করছি। তাই আর কোনোদিন এফডিসি প্রাঙ্গণে যাবো কি-না, তা বলতে পারছি না!’ সাম্প্রতিক শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে এমনটাই মতামত প্রকাশ করেন চিত্রনায়ক রুবেল। অন্যদিকে কার্যনির্বাহী পরিষদে বিজয়ী আরেক সিনিয়র শিল্পী চিত্রনায়িকা রোজিনা পদত্যাগ করে ই-মেইলে চিঠি পাঠিয়েছেন। পদত্যাগের কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগত কাজে দেশের বাইরে থাকবেন। তবে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুন পরিষদের জন্যই কী এমন সিদ্ধান্ত। এমন প্রশ্নে দু’জনই ‘না’ বলেছেন।

চিত্রনায়ক রুবেল বলেন, ‘দেখুন, আমার সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা নেই। আমরা তো শিল্পী সমিতি নির্বাচন করেছি আজীবন পিকনিকের মতো। কেউ জিতে গেলে অপর প্যানেল আগে মিষ্টি কিনে খাইয়েছে। আর নিপুন আমার ছোট বোনের মতো। ওর সঙ্গে আমার খুবই ভালো সম্পর্ক। কিন্তু সার্বিক যে পরিস্থিতি, একটি সিদ্ধান্তের জন্য যে আদালত অবধি গড়াতে হচ্ছে। এ নিয়ে যে সারাদেশে তুলকালাম। তা নিয়ে একজন সিনিয়র শিল্পী হিসেবে বিব্রত বোধ করছি। আমি সিনেমার মানুষ, সিনেমার রুবেল হয়ে থাকতে চাই। আমার দর্শকরা নিজেদের ভেতরে ঝগড়া করছি, এই দৃশ্যেও সাক্ষী হিসেবে যেন না দেখে কোনোদিন। মানুষ আজ আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করছে। কিন্তু কেন? এমন তো হওয়ার কথা না। আর বিব্রত হতে চাই না আমি।’

তবে অফিশিয়ালি এখনো পদত্যাগ করেননি চিত্রনায়ক রুবেল। অন্যদিকে চিত্রনায়িকা অরুণা বিশ্বাসও পদত্যাগ করতে পারেন বলে জানা যায়। তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এবার নির্বাচনেই অংশ নিতে চাইনি। কারণ নিজের সিনেমা, সেন্সর বোর্ডের কাজসহ ব্যক্তিগত ব্যস্ততা আমার অনেক। একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমার কাজ পর্দায় ভালো কিছু উপহার দেওয়া। সেই কাজকে আরো অনুপ্রেরণা বা তরান্বিত করার জন্য শিল্পী সমিতি আমাদের একটা আড্ডার জায়গা। এটুকুই তো। এর বেশি তো কিছু না। কিন্তু এ নিয়ে যা হচ্ছে। তার জন্য আমি নিজেই বিব্রত। কারো সঙ্গেই আমার ব্যক্তি দ্বন্দ্ব নেই। ইলিয়াস কাঞ্চন আমার নায়ক। ভোটের দিনও আড্ডা দিয়েছি। আর জায়েদ-নিপুন দুজনই আমার প্রিয়। নির্বাচনের সময় নিপুনের কাছে শাড়ি উপহার চেয়ে নিয়েছি। আমাদের ভেতরে এই সৌহার্দ্যকে আমি নষ্ট করতে চাই না ব্যক্তিজীবনে। তাই হয়তো আমিও পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে পারি।’

এই অবস্থায় আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালতের রায়ের ওপরেই অনেকের সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে। তবে শোনা যাচ্ছে মিশা-জায়েদ প্যানেলের প্রায় সকলেই একসঙ্গে পদত্যাগ করতে পারেন। তাই চলচ্চিত্রাঙ্গণে পারস্পরিক সম্পর্ক আর সৌহার্দে্যর অবস্থান কতটুকু থাকবে তা নিয়ে অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn