নির্বাচন কমিশন গঠনে বিশিষ্টজনদের পরামর্শ নিতে সুপ্রিমকোর্টের জাজেস লাউঞ্জে চলছে সার্চ কমিটির দ্বিতীয় দফার বৈঠক। দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে শুরু হয় এ বৈঠক। এতে আমন্ত্রিত ২০ জনের মধ্যে যোগ দিয়েছেন ১১ জন।
এর আগে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে শেষ হয় প্রথম দফার বৈঠক। এতে ২০ জন বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে যোগ দেন ১৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক। বৈঠকে তারা নিজেদের মত তুলে ধরেন
এসময় তারা কোনো সরকারের আমলে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তি যেন নির্বাচন কমিশনে স্থান না পান সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী পক্ষের কেউ যেন কমিশনে স্থান না পান সেই পরামর্শও দেন তারা।
প্রথম দফায় অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিশিষ্ট নাগরিকেরা তাদের এমন মতামত ও প্রস্তাবের কথা সাংবাদিকদের জানান।
এসময় সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার জানান, দলীয় সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী কোনো ব্যক্তি যেন ইসিতে স্থান না পান, এমন দাবি তারা জানিয়েছেন। এই দাবি উপস্থিত আরো অনেকেই সমর্থন করেছেন।
সুবিধাভোগী বলতে কী বুঝিয়েছেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কেউ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছিলেন, এমন ব্যক্তি হতে পারেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক আসিফ নজরুল বলেন, যারা অবসরের পরেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ বা বিপক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন, তারা যেন কোনোভাবেই ইসিতে না আসতে পারেন। আর যারা আসবেন, তাদের সুষ্ঠু নির্বাচন করার মানসিকতা ও সাহসিকতা যেন থাকে। ইসি গঠনের জন্য যাদের নাম প্রস্তাব করা হবে, তাদের নাম যেন আগেই প্রকাশ করা হয়, সেজন্য প্রস্তাব করেছি।
এছাড়া বৈঠকে যোগ দেয়া জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী এবং এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি মাহফুজা খানম মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ব্যক্তিদের ইসিতে নিয়োগ দেয়ার প্রস্তাব করেছেন বলে জানান।
এদিকে, আগামীকাল রোববার বিশিষ্টজনদের সঙ্গে শেষ দফা বৈঠক করবে সার্চ কমিটি। এরপর প্রস্তাবিত নাম যাচাই-বাছাই করা হবে।
আইন অনুযায়ী প্রস্তাবিত নামের মধ্য থেকে সার্চ কমিটি যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, সততা ও সুনাম বিবেচনা করে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করবে।
শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে নাম প্রস্তাবের জন্য নির্ধারিত সময়ে ২৪টি রাজনৈতিক দল ও ৬ পেশাজীবী সংগঠন নামের তালিকা পাঠিয়েছে। এর বাইরে জমা পড়েছে ব্যক্তিগত জীবন বৃত্তান্ত।