চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তার লড়াই এখন আদালতে। এর মধ্যেই নিপুণের নামে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন জায়েদ।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য নিপুণের ঘোষণার দিন (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতেই জায়েদ খান তার আইনজীবী মো. আব্দুল কাইয়ুমের মাধ্যমে নোটিশটি পাঠিয়েছেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন আপিল বিভাগ। তাতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে আপাতত পদটি শূন্য থাকবে। যতদিন না আমার মক্কেলের (জায়েদ খান) করা রুলের নিষ্পত্তি হবে। কিন্তু তার আগেই নিপুণ নিজেকে সাধারণ সম্পাদক দাবি করে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, যা আদালত অবমাননার শামিল।
নোটিশ প্রেরণকারী আইনজীবী মো. আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘আমরা মনে করেছি, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত যে স্থিতিবস্থা জারি করেছিলেন, নিপুন আক্তার সে আদেশ ভঙ্গ করেছেন। তিনি গতকাল (১৫ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে এসে যেভাবে বক্তব্য দিয়েছেন তা আদালত অবমাননার শামিল। তাই আদালত অবমাননা করে ওই পদে না বসার বিষয়ে তাকে সতর্ক করে নোটিশ প্রেরণ করেছি। এরপরও যদি তিনি ওই পদে বসেন তবে আমরা তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করবো।’
এদিকে, গতকাল নিপুণের এই দাবির প্রেক্ষিতে জায়েদ খান বলেন, ‘মহামান্য আদালত সর্বশেষ আদেশে বলেছেন রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই পদটি ফাঁকা থাকবে। আর রুলের শুনানি তো হবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি। তার পর নিষ্পত্তির বিষয় আসবে। তার আগেই নিপুণ বাইর থেকে লোক এনে পেশিশক্তির জোরে এগুলো করছেন। বিষয়টি অনেকটা চর দখলের মতো দেখাচ্ছে। আমি লজ্জায় বাইরে বের হতে পারি না। লোকে আমাদের কর্মকাণ্ড দেখে হাসছে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের প্রাথমিক ফলে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তবে তার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ আনলে ৫ ফেব্রুয়ারি সেই প্রেক্ষিতে আপিল বোর্ড জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করেন।
এরপর আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করেন। তারপর থেকেই বিষয়টি ‘বেআইনি’ বলে দাবি করে আসছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। আপাতত নিজেদের পদ পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন জায়েদ ও নিপুণ।