২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৮:৪৩
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৮:৪৩

পুতিনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা বাইডেনের

পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার যে সিদ্ধান্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিয়েছেন তার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসঙ্ঘ ও ন্যাটো জোট।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের ওই দুই অঞ্চলে যেকোনো ধরনের পুঁজি বিনিয়োগ, ব্যবসা বা অন্য কোনো ধরনের লেনদেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তার এ সংক্রান্ত নির্দেশে বলা হয়েছে, যেকেউ এই নির্দেশ লঙ্ঘন করবে তাকে কঠোর নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে

হোয়াইট হাউজ বলেছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিষয়টি নিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন ও জার্মান চ্যান্সেলর উলাফ শোলৎসের সঙ্গে আধাঘণ্টা টেলিফোনে কথা বলেছেন। এই তিন পশ্চিমা নেতা প্রেসিডেন্ট পুতিনের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানান এবং এ ব্যাপারে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হওয়া উচিত তা নিয়ে কথাবার্তা বলেন।

একজন পদস্থ মার্কিন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, মঙ্গলবার (আজ) বাইডেন আরো কিছু নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিতে পারেন। তবে তিনি দাবি করেন, আমেরিকা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে ‘কঠোর’ নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছিল এগুলো তা নয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মার্কিন কর্মকর্তা রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সোমবার রাতের ভাষণকে ‘আসন্ন যুদ্ধের ব্যাখ্যা’ আখ্যায়িত করে বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ট্যাংকগুলো চলতে শুরু না করছে ততক্ষণ ওয়াশিংটন কূটনীতির পথ হাঁটা অব্যাহত রাখবে। এর আগে পশ্চিমা দেশগুলো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালালে মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিক বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের পদক্ষেপকে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা এবং একইসাথে জাতিসঙ্ঘ ঘোষণার পরিপন্থি। তিনি সব পক্ষকে উত্তেজনা প্রশমন ও কূটনৈতিক পন্থায় সমস্যার সমাধান করার আহ্বান জানান।

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াবে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে জবাব দেবে।এছাড়া ন্যাটো জোটের মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের পদক্ষেপকে ইউক্রেনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন ঘোষণা করে বলেছেন, এর ফলে পূর্ব ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তিকে মারাত্মকভাবে দুর্বল করে ফেলবে।
সূত্র : পার্স টুডে

Facebook
Twitter
LinkedIn