২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৫:৪০
২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৫:৪০

ইউক্রেনে ‘হামলার নির্দেশ’ পুতিনের

ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলে ‘সামরিক অভিযানের’ ঘোষণা দিয়েই দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় সকাল ৬টার আগে টেলিভিশনে দেওয়া আকস্মিক এক ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি সামরিক অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই তথ্য জানায়।

পুতিন বলেন, পূর্ব ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের যেসব সেনা সদস্য রয়েছেন তারা অস্ত্র ফেলে দিয়ে ঘরে ফিরে যান।

যে কোনো ধরনের রক্তপাতের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করা হবে বলে সতর্ক করে দেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সংকট মূলত পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরেই। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গরাজ্য ও রাশিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইউক্রেন কয়েক বছর আগে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পর থেকেই সংকট শুরু হয় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। ইউক্রেন যেন ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের আবেদন প্রত্যাহার করে নেয়, মূলত সেজন্য দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টির করতেই সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছিলো রাশিয়া। ১৯৪৯ সালে গঠিত ন্যাটোকে রাশিয়া পাশ্চাত্য শক্তিসমূহের আধিপত্য বিস্তারের হাতিয়ার মনে করে এবং ঐতিহাসিকভাবেই রাশিয়া পাশ্চাত্য আধিপত্যবাদের বিরোধী। সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করার পর আরও বেড়েছে এই উত্তেজনা।

Facebook
Twitter
LinkedIn