২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ২:৪৩
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ২:৪৩

গণটিকার প্রথম ডোজ চলবে আরো দুদিন

বন্ধ হচ্ছে না করোনা গণটিকার প্রথম ডোজ। চলবে আরও দুইদিন। টিকা নেয়ায় ব্যাপক আগ্রহ বাড়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ১২ কোটি মানুষকে প্রথম ডোজ দেয়ার মাইলফলক স্পর্শ করতে চায় সরকার।

ঢাকা মেডিকেলের টিকাকেন্দ্র। কয়েকটি সারিতে হাজারো মানুষের অপেক্ষা, একেক জনের কেটে গেছে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। দীর্ঘ এই সারি ঠেকেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে।

কেন্দ্রের ভেতরেও পা ফেলার জায়গা নেই। ১৬টি বুথে দেয়া হয় টিকা।তবে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের সার্ভার ত্রুটিতে দেখা দেয় ভোগান্তি।

রাজধানীর সব কেন্দ্রেই ছিল টিকা গ্রহীতাদের ভীড়। চাপ সামাল দিতে অনেক কেন্দ্রে এক ঘণ্টা আগেই শুরু হয় টিকা দেয়া। সারা দেশের ২৮ হাজার বুথের পাশাপাশি টিকা দেয় ভ্রাম্যমাণ টিম।

বিরতিহীনভাবে চলে কর্মসূচি। শুধু নাম ও মোবাইল নম্বর দিয়েই টিকা নেয়া যাচ্ছে। দেয়া হচ্ছে টিকাকার্ড যা দেখিয়ে নেয়া যাবে দ্বিতীয় ডোজ।

স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করতে প্রথম ডোজের গণটিকা এখনই বন্ধ হচ্ছে না।

দেশের ৭০ ভাগ অর্থাৎ ১২ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্য সরকারের। ২৬ ফেব্রুয়ারির পর প্রথম ডোজ বন্ধ, এমন ঘোষণার পর টিকা নেয়ার আগ্রহ বাড়ে।

এদিকে, এক কোটি মানুষকে টিকাদান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সারা দেশে শনিবার সকাল থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ছিল উপচেপড়া ভিড়। নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র ছাড়াই টিকা দিতে পেরে খুশি গ্রহীতারা।

তবে কোথাও কোথাও টিকা নেয়ায় ধীরগতি, অব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তাকর্মীর ঘাটতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ করেছেন অনেকেই।

নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র ছাড়াই টিকা দিতে এদিন সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।

সারা দেশে এক কোটি মানুষকে টিকাদান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে দেয়া হয় গণটিকা কার্যক্রম। সকাল থেকে নগরীতে স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র ছাড়াও প্রত্যেক ওয়ার্ডে আলাদা টিকা কেন্দ্র খোলা হয়।

রাজশাহীতে ২ লাখ ৩ হাজার ৪শ জনকে টিকা দেয়া হয়।

নগরীতে ৩০টি ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করছে। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে করোনার প্রথম ডোজ দিতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়।

জন্ম নিবন্ধন ছাড়াই টিকা দিতে পেরে খুশি সাধারণ মানুষ। পরিচয়পত্র ছাড়া টিকা দেয়ার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তারা।

সাভারের প্রতিটি ইউনিয়নে টিকা দেয়া হলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কেন্দ্রে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়। এসময় লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। গাজীপুরের কোথাও কোথাও টিকা কেন্দ্রে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে।

২৬ তারিখের পরও স্বাভাবিক টিকা কার্যক্রম চলবে আগের মতোই বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

শতভাগ মানুষকে টিকা কর্মসূচির আওতায় আনাই গণটিকা কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য।

Facebook
Twitter
LinkedIn