ইউক্রেনে সামরিক অভিযান বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সরাসরি আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলনস্কি।
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বাড়াতে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বৃহস্পতিবার সুরক্ষাবলয়ের মধ্যে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জেলেনস্কি।
ওই সময় তিনি পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করে বলেন, পুতিনের ‘সামরিক আগ্রাসন’ সফল হলে ইউরোপের বাকি দেশগুলোর দিকে নজর দেবে রাশিয়া।
ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে চলা রুশ সামরিক অভিযানের অষ্টম দিন জেলেনস্কি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি আলাপের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি এমন নয় যে, আমি পুতিনের সঙ্গে কথা বলার কথা ভাবছি। পুতিনের সঙ্গে কথা বলা দরকার আমার। বিশ্বের পুতিনের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন। এ যুদ্ধ বন্ধে এর কোনো বিকল্প নেই।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে জেলেনস্কি বলেন, ‘আপনি আমাদের কাছে কী চান? আমাদের ভূখণ্ড ছেড়ে দিন। আমার সঙ্গে বসুন, মাত্র ৩০ মিটার দূরে।’
গত সপ্তাহে রুশ বাহিনীকে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানের শুরুর ঘোষণা দেন পুতিন। দেশটির সরকারকে নব্য-নাৎসি অ্যাখা দিয়ে উচ্ছেদের ঘোষণা দেন তিনি। গত ৮ দিন ধরে ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে আসছে রুশ বাহিনী। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও ইউক্রেনের খেরসেনসহ বেশ কয়েকটি শহর দখলে নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের পাশাপাশি মারিউপলেও সংঘর্ষ চলছে। রাজধানী কিয়েভকে ঘিরে ব্যাপক হামলা অব্যাহত রেখেছে সেনারা। টানা আটদিনের সংঘাতে কয়েক শতাধিক বেসামরিক নিহত হয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে নো-ফ্লাই জোন আরাপে পশ্চিমা নেতাদের প্রতি ফের আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এর আগে তার এমন অনুরোধ প্রত্যাখান করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জানায়, এই ধরনের পদক্ষেপে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ টেনে আনতে পারে। জেলেনস্কি বলেন, ‘আকাশসীমা বন্ধের ক্ষমতা যদি আপনাদের নাই থাকে তবে, আমাদের যুদ্ধবিমান দিন’।
এদিকে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাতে বেলারুশে শান্তি আলোচনায় বসে ইউক্রেন ও রাশিয়া। এতে দুই দেশ মানবিক করিডোর স্থাপনে সম্মত হয়।
এ করিডোরের মাধ্যমে ইউক্রেনের সংঘাতপূর্ণ এলাকা ছাড়তে চাওয়া লোকজন নিরাপদে গন্তব্যে যেতে পারবেন।