২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৩:৪৩
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৩:৪৩

দেশেই আছি, পালাই নি: জেলেনস্কি

গুঞ্জন উঠেছে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে তা নিজেই প্রত্যাখ্যান করে শনিবার ইনস্টাগ্রাম পেইজে ভিডিও বার্তায় জানান, দেশেই আছেন তিনি। কোথাও পালিয়ে যাননি।

এসময় তিনি বলেন, দুই দিন পরপর তথ্য আসছে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে গেছেন প্রেসিডেন্ট। রুশ আগ্রাসন শুরুর পর দ্বিতীয়বারের মতো দেশ ছেড়ে পালানোর তথ্য প্রত্যাখান করলেন জেলেনস্কি।

তিনি বলেন, আমি এখনো আমার জায়গায় আছি। কেউ কোথাও পালিয়ে যাইনি। এখানে, আমরা কাজ করছি।

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ভিডিও বার্তায় আরো বলেন, আমি জগিং পছন্দ করি। কিন্তু এখন আমাদের একদম সময় নেই।

অন্যদিকে ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের মারিওপোল ও ভলনোভাখা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় সময় সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এই যুদ্ধবিরতি।

কিন্তু যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও রাশিয়ার বিরুদ্ধে রকেট হামলার অভিযোগ তুলেছে মারিওপোলের ডেপুটি মেয়র। এমন পরিস্থিতিতে নাগরিকদের উদ্ধার কাজ স্থগিত ঘোষণা করেছে মারিওপোল কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার বেলারুশ সীমান্তে দ্বিতীয় বৈঠকে বসে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা। সেসময়ই বেসারমিক নাগরিকদের নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়ার বিষয়ে সম্মতি আসে। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় রাশিয়া।

সাময়িক এই যুদ্ধবিরতিতে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ইউক্রেনের মারিওপোল ও ভলনোভাখার বেসামরিক নাগরিকেরা। ব্যক্তিগত যান ব্যবহারের অনুমতিও দেয়া হয়েছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইউক্রেন সরকারও। এর ফলে শহরে খাবার, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় স্থাপন করা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন মারিওপোলের মেয়র।

এর আগে, ইউক্রেনের উত্তর, পূর্ব এবং দক্ষিণে তীব্র সংঘর্ষের তথ্য জানায় বিবিসি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে কৌশলগত বড় বড় বন্দর আছে। এর নিয়ন্ত্রণ রাশিয়াকে ইউক্রেনে আসা সরবরাহ বন্ধ করতে সহায়তা করবে।

বিশেষ করে মারিওপোলের নিয়ন্ত্রণ যদি রুশ বাহিনীর হাতে চলে যায় তাহলে ক্রিমিয়ার সাথে খুব সহজেই স্থল যোগাযোগ নিশ্চিত করতে পারবে রাশিয়া। মারিওপোলের মত ভলনোভোখা আলোচনায় না এলেও এই শহরও কৌশলগত কারণে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে ইউক্রেনে বিশাল রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে সামনে থেকে একাই নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন নিজ দেশের পাশাপাশি বিশ্বের বহু দেশের মানুষ

Facebook
Twitter
LinkedIn