রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্নালেনা বিয়ারবোকের সঙ্গে ফোনালাপে এমন মন্তব্য করেছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
বিভিন্ন দেশ মস্কোর ব্যাংক, বাণিজ্য ও এয়ারলাইনসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে আরটি এমন খবর দিয়েছে।
ওয়াং ই বলেন, সংকট সমাধানে নিষেধাজ্ঞার ব্যবহারে সমর্থন করে না চীন। এমনকি আন্তর্জাতিক আইনে ভিত্তি নেই—এমন একতরফা নিষেধাজ্ঞারও বিরোধিতা করছে বেইজিং।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা কেবল বর্তমান সংকট সমাধানেই ব্যর্থ হবে না, বরং নতুন করে সমস্যার জন্ম দেবে। এতে জড়িত সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে, রাজনৈতিক সমাধান প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হবে।
ইউক্রেন সংকটে বলপ্রয়োগ কিংবা নিষেধাজ্ঞা—দুটোরই বিরোধিতা করছে চীন। তার দাবি, ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণ নিয়ে রাশিয়ার বৈধ নিরাপত্তা দাবি যথাযথভাবে পূরণ করা উচিত।
ইউক্রেনকে কখনোই ন্যাটোর সদস্য না-করতে মস্কোর দাবি আইনগতভাবে বৈধ। এছাড়া পূর্ব ইউরোপ থেকে ন্যাটোর সেনা প্রত্যাহারেরও দাবি করা হয়েছে। কিন্তু এসব দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটটি।