ভোজ্যতেলের উৎপাদন, আমদানি ও ভোক্তা পর্যায়ে ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ভ্যাট ১০ শতাংশ কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হতে পারে বলে জানান তিনি।
সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্তটি দিয়েছেন জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দুয়েক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
টিপু মুনশি বলেন, সরকার ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখবে। এ জন্য সরকার কঠোর হবে। ভোজ্যতেলের সরবরাহ বাধা ভাঙতে ডিও (অনানুষ্ঠানিকপত্র) ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হবে। সেটি হলে মালিকেরা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য সরবরাহ নিতে বাধ্য হবেন এবং পরে সরবরাহ করতেও বাধ্য হবেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
১৫ মার্চ মঙ্গলবার দেশে ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২২ পালিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলার ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে অর্থমন্ত্রী যে ঘোষণা দেন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। কারণ, ছোলা আমদানিতে কোনো শুল্ককর আগে থেকেই ছিল না। আর চিনির ওপর নতুন করে কোনো ছাড় দেয়া হচ্ছে না বলে জানা গেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে।
অর্থমন্ত্রী সেদিন জানান, সয়াবিনের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোক্তাপর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এ নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, শুধু উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট তুলে নিলে তাদের ব্যয় আরো বাড়বে। কারণ, আমদানি পর্যায়ে যে ভ্যাট রয়েছে, সেটা দিতে হবে। পরে উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে রেয়াত নেয়ার সুযোগ থাকবে না।