দেশে সয়াবিন ও পাম অয়েলের আমদানি পর্যায়েও ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারে অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এখন যে কোনো সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) অর্থমন্ত্রণালয় এই প্রত্যাহারে অনুমোদন দিয়েছে।
এর আগে সোমবার (১৪ মার্চ) সয়াবিন ও পামওয়েল তেলের ওপর থেকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে পণ্যে স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ ছিলো। পণ্য দুটির মূল্য হ্রাসে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের ওপর থেকে এই কর অব্যাহতি দেওয়া হলেও আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যহত থাকে।
ওই প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, আগামী ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে।
নতুন নিয়মে উৎপাদন ও ভোক্তা পর্যায়ে সম্পূর্ণ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। অবশ্য তিন স্তরেই ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন ব্যবসায়ীরা।
এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, ভোজ্যতেল আমদানি পর্যায়ে ১০ শতাংশ ভ্যাট এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট কমছে বলে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে ভোজ্যতেল উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হবে।
অপরদিকে সচিবালয়ে আমদানি পর্যায়ে তেল, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর ভ্যাট কমানোর জন্য এনবিআরকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে ভ্যাট মওকুফের ঘোষণা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তখন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানান হয়, সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে উপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করা হবে।