বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। জ্বালানি সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর প্রভাব গিয়ে পড়ছে জীবনযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রে। সেই রেশ থেকেই শ্রীলঙ্কার সার্বিক পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ।
দেশটিতে মারাত্মক অর্থনৈতিক ও জ্বালানি সংকট তৈরি হয়েছে। হাজারও মানুষ ফিলিং স্টেশনের সামনে কয়েক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। মুদ্রা বিনিময় সংকটের কারণে আমদানি বিধিনিষেধ থাকায় সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানিরও ক্ষমতা হারিয়েছে তারা। শ্রীলঙ্কার জন্য ভারত ঘোষিত ১০০ কোটি ডলার ঋণসীমার আওতায় এ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে শনিবার শ্রীলঙ্কার বন্দরে ৪০ হাজার টন ভারতীয় ডিজেল পৌঁছেছে।
গত মাসের শুরুর দিকে শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপাকসে নয়াদিল্লি সফর করেন। তখন আমদানি করা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম পরিশোধে দেশটিকে অতিরিক্ত ১০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিল ভারত।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২ কোটি ২০ লাখ অধিবাসীর দেশ শ্রীলঙ্কা প্রচণ্ড অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে আছে। এমনকি ১৯৪৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর ৭৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংকটে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার এ দ্বীপরাষ্ট্র।
তীব্র অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে দেশজুড়ে চলমান জনবিক্ষোভের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে সরকারি গেজেটে জরুরি অবস্থা জারির কথা জানানো হয়।