২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১০:৩৯
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১০:৩৯

নভেম্বরে দুটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

ঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ পশ্চিমে সৃষ্ট লঘুচাপটি গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে এমন শঙ্কা রয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি নিম্নচাপ হিসেবেই উপকূল অতিক্রম করেছে। নিম্নচাপ কেটে যাওয়া ঢাকাসহ সারা দেশে গত কয়েকদিন যে পরিমান টানা বৃষ্টি হচ্ছিল তার প্রবণতা অনেকটাই কমে এসেছে। তবে আগামী নভেম্বর মাসে দুটি ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসার আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়া অধিদফতরের উপপরিচালক কাওসার পারভীন শনিবার গণামধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।

কাওসার পারভীন বলেন, এই মাসে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো সম্ভাবনা নেই। শীতের প্রকোপ চলে আসবে কিছুদিনের মধ্যেই। তবে আগামী মাসে এ রকম দু-একটা ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আশঙ্কা আছে।

এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, রংপুর ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চাঁদপুরে ১৬৭ মিলিমিটার। এ সময় রাজধানী ঢাকায় ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। তবে নিম্নচাপ কেটে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির মাত্রা কমে এসেছে।

এদিকে গত কয়েক দশক ধরে দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে রুদ্র প্রকৃতিকে বাগে আনার সাধ্য মানুষের কোথায়।

কাছাকাছি সময়ে আঘাত হানা সবচেয়ে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর’৷ ২০০৭ সালের নভেম্বরে আঘাত হানা ওই ঝড় এবং তার প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। এরপরে আরেক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে বাংলাদেশে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি শতাব্দীর প্রথম ‘সুপার সাইক্লোন’ আমফানের তাণ্ডবে প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সিডরের চেয়ে কিছুটা কম হয়েছে।

আগে এ অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো নাম দেওয়া হত না। কিন্তু ২০০০ সাল থেকে ঝড়ের নামকরণের জন্য নিয়ম বানানো হয়। তাতে ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন ও ইউনাইডেট নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়ার সদস্য দেশগুলি ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া শুরু করে। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আছে ভারত, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। সব দেশের কাছ থেকে ঝড়ের নাম চাওয়া হয়। তার থেকে দেশ প্রতি ৮টি করে নাম বাছাই করে মোট ৬৪টি ঝড়ের নামকরণ করা হয়। সেই তালিকার শেষ নাম ছিলো ‘আমফান’৷তবে আগামী মাসে দুটি ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসার যে আশঙ্কা কথা লছে আবহাওয়া অধিদফতর। তার নাম এখনো এখনো অজানা।

Facebook
Twitter
LinkedIn