২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৫:৪৩
২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৫:৪৩

নীতিমালা ছাড়াই গড়ে উঠছে পর্যটন কেন্দ্র

ঈদ বা কোনো উপলক্ষ্যে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় বাড়ে। প্রায় এক কোটিরও বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেন দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। কিন্তু বেশিরভাগ স্থানেই গড়ে ওঠেনি তেমন কোনো অবকাঠামো। অনুপস্থিত পর্যটক সুবিধাও। তবুও এসব স্থান ভ্রমণে অর্থ গুনতে হয় পর্যটকদের। বেশিরভাগ স্থানেই স্থানীয় প্রশাসন বা প্রভাবশালী গোষ্ঠীর ব্যবস্থাপনায় ইজাদার নিয়োগ দিয়ে অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে আছে ক্ষোভ।

পর্যটকদের মতে, এমন অব্যবস্থাপনায় বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির আঘাত হবে। পাশাপাশি ব্যাঘাত ঘটাবে পর্যটন শিল্পেরও। কেউ কেউ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার কথাও বলছেন।

কোনো স্থানকে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণা করা হবে, তা নিয়ে নেই কোনো নীতিমালা। কারা গড়বে অবকাঠামো, কীভাবে ধার্য হবে ফি, নির্ধারিত নেই সেটিও। তাই দেশের বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে পর্যটন কেন্দ্র; ইচ্ছমতো আদায় হচ্ছে ফি। আর পরিবেশ সংকাটাপন্ন স্থান বা সংরক্ষিত বনভূমিতে কীভাবে পর্যটন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে সে বিষয়েও নেই কোনো নির্দেশনা। এছাড়া, সুবিধা নিশ্চিত না করে পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। এসবই দেশের পর্যটন খাতের বিকাশে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন পর্যটন বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এম বদরুজ্জামান ভূইয়া বলেন, পর্যটনের জন্য আলাদা একটা মন্ত্রণালয় থাকা প্রয়োজন। পর্যটন পুলিশও তাদের আয়ত্বে থাকবে। পাশাপাশি পর্যটনকে জেলা, উপজেলায় ছড়িয়ে দেয়ার জন্য যে প্রশাসন সেটি এবং আঞ্চলিক অফিস তৈরি করে তা মন্ত্রণালয় পরিচালনা করবে।

যথেচ্ছভাবে গড়ে ওঠা দেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে স্থানীয় ইজারাদার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয় ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলা রক্ষায়। এই স্বেচ্ছাসেবকরা অনেক সময়ই অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটান পর্যটকদের সাথে। অথচ পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠন করা হয়েছে। পর্যটকদের ওপর হামলায় তাহলে দায় কার?

ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো ইব্রাহিম খলিল জানান, এসব স্বেচ্ছাসেবকরা স্থানীয় প্রশাসনের অধীনে টোল আদায়ের দায়িত্বে থাকেন। তারা নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পর্যটকদের সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে বাড়বে এই খাতের অভ্যন্তরীণ বাজার। পাশাপাশি বাড়বে বিদেশি পর্যটকও।

Facebook
Twitter
LinkedIn