চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শতকের দেখা পেয়েছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল খান। এই শতকের মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ ৩৮ মাসের বেশি সময় পর সাদা পোশাকে সেঞ্চুরি দেখা পেলেন তামিম। এতে করে ঘুঁচেছে তামিমের আরও একটি আক্ষেপ।স্টেট ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি তার প্রথম শতক।
তৃতীয় দিনের শুরু থেকে আধিপত্য ধরে রেখে ব্যাট করছে টাইগাররা। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল খান ও মাহমুদুল হাসান জয় দলকে উপহার দেন ১৬২ রানের উদ্বোধনী জুটি। জয় ব্যক্তিগত ১৪২ বলে ৯ চারে ৫৮ রানে আসিথা ফার্নান্ডোর শিকার হয়ে। ফার্নান্ডোর লেগ সাইডে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেট দিয়ে এসেছেন জয়।
ইনিংসের ৫১ম ওভারে শ্রীলঙ্কান পেসার অসিথা ফার্নান্দোর বলে মিড উইকেটে খেলে দৌড়ে ১ রান নিয়ে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তামিম। ৮৯ রান নিয়ে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যান তামিম, সেখান থেকে ফিরেই সেঞ্চুরির করেন এই বাহাতি ব্যাটসম্যান। ৭৩ বলে ফিফটি করলেও পরের পঞ্চাশ করতে লেগেছে ৮৮ বল। তামিমের ১২টি চারে ১৬২ বলে এই শতকের দেখা পেয়েছেন। এর আগে টেস্ট শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭টি অর্ধশতক থাকলেও ছিল না কোনো শতক। শ্রীরঙ্কার বিপক্ষে তামিমের এটি প্রথম সেঞ্চুরি। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৯২ রান ছিল এই ওপেনারের।
টেস্টে এটি তার টেস্টে ১০ম সেঞ্চুরি। এই ফরম্যাটে সর্বশেষ শতকটি করেছিলেন ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এর মাঝে কেটে গেছে ১৬ ইনিংস। যেখানে ৬টি অর্ধশতক হাঁকালেও ম্যাজিক ফিগারের দেখা পাচ্ছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৩৮ মাসের বেশি সময় পর সেই আক্ষেপ ঘুঁচলো তামিমের।
ওপেনার জয় ফেরার পর ক্রিজে নেমে দ্রুত ফেরেন নাজমুল হাসান শান্ত (২)। এরপর দলনেতা মুমিনুল হক নেমেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে ফিরে যান ১৯ বলে মাত্র ২ রান করে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬২ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান তুলেছে টাইগাররা। তামিম ইকবাল ১৯০ বলে ১১৫ রান এবং মুশফিক রানের খাতা খুলতে পারেননি।