পুঁজিবাজারে ফের কমানো হয়েছে সার্কিটব্রেকারের নিম্নমুখী সীমা। সহজভাবে বললে শেয়ারের সর্বোচ্চ দর হ্রাসের গ্রহণযোগ্য সীমা কমানো হয়েছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে একদিনে একটি শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ২ শতাংশ কমতে পারবে। এতোদিন এটি ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারতো।
) বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের স্বাক্ষরকৃত প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
এর আগে, গত ৮ মার্চ পুঁজিবাজারের নেতিবাচক অবস্থা সামলাতে দর কমার সীমা ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করেছিল কমিশন। যা পরিবর্তন করে ২০ এপ্রিল ৫ শতাংশ করেছিল। আজ ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ফের ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হল।
অন্যদিকে ২০২১ সালে সর্বোচ্চ পতনের ২ শতাংশ সীমা বেঁধে দিয়েছিল কমিশন। ওই বছরে ১ম ও ২য় দফায় ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া কোম্পানিগুলোর উপর এই সীমা আরোপ করা হয়েছিল।
২০২০ সালে দেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে পুঁজিবাজারে ভয়াবহ ধস নামে। পুঁজিবাজারে পতন ঠেকাতে ওই বছরের ১৯ মার্চ সে সময়ের কমিশন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়।
এরপর ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল ১ম দফায় ৬৬টি ও ৩ জুন ২য় দফায় ফ্লোর প্রাইসে থাকা বাকি ৩০ কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেয় কমিশন। ওইসময় ফ্লোর তুলে নেওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার এক দিনে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ কমতে পারবে বলে জানায় কমিশন। তবে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে আগের মতোই ১০ শতাংশ সীমা বহাল রাখে। এরপরে ১৭ জুন সব সিকিউরিটিজের ওপর স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার আরোপ করে।
উল্লেখ্য, দর পতনের ক্ষেত্রে ২ শতাংশের নতুন নির্দেশনার আগে ২০০ টাকার মধ্যে থাকা সিকিউরিটিজের উত্থান-পতনের সীমা (সার্কিট ব্রেকার) ১০ শতাংশ ছিল। অর্থাৎ যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বা ইউনিটের দাম ২০০ টাকার মধ্যে, সেসব শেয়ার বা ইউনিটের দাম একদিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে।