২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৬:৫০
২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৬:৫০

মিরপুরে সাত ঘণ্টা পর গাড়ি চলাচল শুরু

নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকার মিরপুরে সড়ক আটকে বিক্ষোভে নামা পোশাক শ্রমিকরা সাত ঘণ্টা পর সড়ক ছেড়েছেন।

গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিক্ষোভ করার পর বিকাল সাড়ে ৩টায় পুলিশের টিয়ার শেল ও লাঠিপেটায় সড়ক ছাড়তে বাধ্য হন তারা। ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) ইলিয়াস হোসেন জানান, সকালে মিরপুর ১০, ১১, ১৩ ও ১৪ নম্বর সড়ক দখলে নিয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন।

মিরপুর এলাকার বিভিন্ন কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক গতকাল সকালে রাস্তায় নামলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তাদের দাবি, বেতন বাড়াতে হবে, না হয় নিত্যপণের দাম কমাতে হবে। শ্রমিকরা বলছেন, তারা মালিকদের বেতন বাড়ানোর জন্য বারবার তাগাদা দিয়েছেন, কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে সড়ক অবরোধ করেন।

শ্রমিকদের সড়কে অবস্থানের কারণে ওইসব এলাকা দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় বলে জানিয়ে ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘বিকল্প সড়ক দিয়ে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে কিছুটা হলেও যানজট তৈরি হয়েছে, রাস্তায় বের হওয়া মানুষজন দুর্ভোগেও পড়েন।’ তিনি বলেন, বিকাল সাড়ে ৩টায় ১০, ১১, ১৩ ও ১৪ নম্বর সড়ক দিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, ‘শ্রমিকরা আজ সড়ক অবরোধ ছাড়াও বিভিন্ন মার্কেট ও স্থাপনায় ঢিল নিক্ষেপ করে ক্ষতিসাধন করে। পরে ধাওয়া দিয়ে এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়।’

এর আগে গত শনিবার বিকালে শ্রমিকরা বিজিবির একটি গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি পুলিশের দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় বলে জানিয়ে ওসি পারভেজ বলেছিলেন, সেদিন শ্রমিকরা ইনডোর স্টেডিয়ামেরও ক্ষতি করছিল। পরে বিকালে পুলিশের ধাওয়ায় তারা সড়ক ছাড়ে। শনিবারের ঘটনায় পল্লবী থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে মামলা করেছেন থানার এসআই জুমায়েতুল ইসলাম জিতু। মামলায় অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে ওসি পারভেজ জানান। এর আগে বৃহস্পতিবারও পোশাক শ্রমিকরা একই দাবিতে বিক্ষোভ করেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn