দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ গণমাধ্যমকে জানানোর জন্য এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গতকাল সোমবার রাতে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য সরকারের অবহেলা, সমন্বয়হীনতা এবং অযোগ্যতা দায়ী। সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি, অযোগ্যতা, জবাবদিহিহীনতার কারণেই এতগুলো প্রাণ চলে গেলো এবং সামগ্রিক ক্ষতি হলো। তাই এই দুর্ঘটনার জন্য সরকারকে দায় নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত।
নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সীতাকুণ্ডে দুর্ঘটনার মূল কারণ উদঘাটন, দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ এবং দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, দগ্ধ ও আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা এবং প্রয়োজনীয় সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
এছড়া জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ও ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর চট্টগ্রাম মহানগর নেতৃবৃন্দ ইতোমধ্যে এই দুর্যোগে তাদের দায়িত্ব পালন করতে শুরু করেছে বলেও জানান তিনি। এ সময় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন, ড্যাব, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনসমূহকে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি যখন জনজীবনে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে সেই সময় গ্যাসের ২২.৭৮ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনে মরার ওপর খাড়ার ঘা হিসাবে আঘাত করল। নতুন করে রান্নার জন্য ব্যবহৃত চুলার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, সার কারখানার ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহকৃত গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও প্রতি ঘন মিটার ১০ পয়সা ডিমান্ড চার্জ সংযুক্ত করা হয়েছে। একদিকে মানুষের দৈনিন্দন জীবনের ব্যয়বৃদ্ধি অন্যদিকে কৃষি, শিল্প ও বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। প্রতিটি দ্রব্যের মূল্য আরো বৃদ্ধি পাবে। কোন মতেই জনগণের পক্ষে এই ব্যয় ভার বহন করা সম্ভব হবে না। বিএনপি অবিলম্বে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করে পূর্বের মূল্যে ফিরে যাওয়ার দাবি জানাচ্ছে।