রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনায় জরুরি বৈঠকে বসছে মেডিকেল বোর্ড।
শনিবার (১১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় এই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন
হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে কয়েকজন বিশেষ চিকিৎসক রয়েছেন এই মেডিকেল বোর্ডে। অধ্যাপক জাহিদ বলেন, ‘‘ম্যাডামকে সিসিইউতে রাখা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় মেডিকেল বোর্ড বসছে। তার হার্টের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো পর্যালোচনা করে চিকিৎসার করণীয় ঠিক করবেন তারা।”
গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় বেগম খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে শুক্রবার (১০ জুন) রাত তিনটায় ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের গাড়িতে করে এভারকেয়ার হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের চেয়ারপাসনের অসুস্থতার খবর পেয়ে দ্রুত উত্তরার বাসা থেকে গুলশানে আসেন এবং চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরপরই খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রের কয়েকটি পরীক্ষা তাৎক্ষণিকভাবে করা হয়।
পরে সাংবাদিকদের বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই মুহূর্তে ম্যাডামের অবস্থা স্থিতিশীল। হার্টের পরীক্ষা নিরীক্ষাগুলো করার পরে বিশেষ করে এনজিওগ্রাম করার পরে বুঝা যাবে তার সমস্যাটা কতটা জটিল।‘ ‘এমনিতেই তো বিভিন্ন অসুখে বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ একজন রোগী।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে আনার পর ডাক্তাররা ইতিমধ্যে যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন সেই পরীক্ষায় মধ্য দিয়ে দেখা গেছে যে, তার আজকে (শনিবার গভীর রাতে) রাতে এবং আগের দিন (শুক্রবার) বিকাল থেকে বেগম খালেদা জিয়ার হার্টে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তিনি অসুস্থ বোধ করছিলেন।’
পরে সন্ধ্যায় (শুক্রবার ) যখন তাকে দেখতে গেছেন ডা. জাহিদ এবং ডা. সিদ্দিক তখন দেখা গেছে যে উনার সমস্যা হচ্ছে। তখনই লন্ডনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিনী ডা. জোবাইদা রহমানের সঙ্গে কথা বলে বেগম জিয়াকে হাসপাতালে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।”খালেদা জিয়ার আশু আরোগ্য কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।