পদ্মা সেতুর চালু হওয়ার পর ক্যাশের পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ডেও টোল দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (১২ জুন) বিকেলে পদ্মা সেতুর মাওয়া অংশ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দুটো পদ্ধতিতেই টোল দেওয়া যাবে। ক্যাশেও দেওয়া যাবে, ক্রেডিট কার্ডেও দেওয়া যাবে।
পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান সেতু বিভাগের সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন।
সচিব বলেন, টোল আদায় ম্যানুয়াল ও অটোমেশন দুই পদ্ধতিই চলবে। প্রথমে একটি কাউন্টারে অটোমেশন হবে। পর্যায়ক্রমে অন্যগুলোতে করা হবে। তবে আমরা শুরুতে অটোমেশনে যাচ্ছি না। টোল আদায়ের যারা দায়িত্ব পেয়েছেন, তাদের ছয় মাস লাগবে। এরপর তারা একটি কাউন্টারে অটোমেশন চালু করবে।
ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে নগদ টাকা প্রদান এবং ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টোল প্রদান করা যাবে বলেও জানান সচিব মঞ্জুর হোসেন।
সেতু দিয়ে যাতায়াতের জন্য যে এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করা হয়েছে, তাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে শুরু করে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত বিভিন্ন খাতে টোল আদায় নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বিষয়ে আমরা চিন্তা ভাবনা করছি। জনগণের জন্য যে সেতু, সেই সেতুকে বোঝা হিসেবে আমরা উপহার দিতে চাই না।
দক্ষিণাঞ্চলের ১৯ জেলার গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ করলে বাড়তি চাপ তৈরি হবে কি না? এ বিষয়ে সরকার কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে কি না- জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখুন, এসব অনেক ভাবনা চিন্তা আমাদের আছে। সংশয় ছিল পদ্মা সেতু হবে কি হবে না। সেটা যখন পেরেছি, এইসব চাপও আমরা ইনশাআল্লাহ মোকাবিলা করতে পারব।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর সবুর, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া ও শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নহিম রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।