পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, ‘পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ শিক্ষার বিকল্প নেই। কাজ করতে গিয়ে আমরা দেখেছি, যারা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন তাদের অনেকেই এ বিষয়টি ভালো করে বুঝেন না। যার ফলে বিনিয়োগ করে লসে পড়লে অনেকে আমাকে ম্যাসেজ পাঠায়। কিন্তু লাভ হলে আর কেউ কিছু বলেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) গবেষণা গ্রন্থ ইনভেস্টমেন্ট টুলকিটস প্রকাশনা অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমদ ও সিএমএসএফের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান।
অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, এ ধরনের একটা বই পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীসহ সবার জ্ঞানভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করবে। জানা অজানা বিভিন্ন তথ্য এই বই দিবে সবাইকে, লেখক একজন তরুণ ও উদীয়মান। তার বই সবাইকে সহযোগিতা করবে। অনলাইনে বইটি বিআইসিএম ওয়েবসাইটে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলেও জানান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে লস হলে সব সবাই মেসেজ করে আমাকে। কীভাবে কী করবো। কোন আইটেম কিনবো ইত্যাদির বিষয়ে জানতে চায় তারা। তখন আমি তাদের নিজেদের পোর্টফোলিও নিজেদের ম্যানেজম্যান্ট করার পরামর্শ দেই। পুঁজিবাজার শিক্ষার এতো গুরুত্বপূর্ণ যে কাজ করতে গিয়ে আমরা দেখি, যারা ক্যাপিটাল মার্কেটে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন তাদের অনেকেই এই বিষয়টি বুঝেন না। এ কারণে পুঁজিবাজার বিমুখ ও বাজারের বিরোধী অনেক সিদ্ধান্ত দিয়ে ফেলেন। যখন আমরা বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করি তখন বুঝতে পারি আসলে তারা না বুঝেই এটা করে ফেলেছেন। তখন ক্ষতিটা হয়ে যায় পুঁজিবাজারের।
বিআইসিএম নির্বাহী সভাপতি ড. মাহমদু ইসলাম বলেন, তরুণ গবেষক সজিব হোসেন। এত মূল্যবান একটি গবেষণা বই করেছে কিন্তু এতে তার নাম নেই। তারপরও সে অনেক খুশি ও উজ্জীবিত। বইয়ে সহজ ও প্রাণজল ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। পুঁজিবাজারে এরকম বই আর প্রকাশিত হয়নি। বইটি বাজারে অনেক মূল্যবান ভূমিকা রাখবে। বইটি পড়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা অনেক উপকৃত হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শেখ শামসুদ্দিন আহমদ বলেন, রিসার্চ ছাড়া কখনো একটা প্রতিষ্ঠান এগোতে পারে না। যারা গবেষণা করতে চায় এমন দুই তিনটা প্রতিষ্ঠান আমাদের কাছে আবেদন করেছে। বর্তমানে বাজারে গবেষণা করে এমন প্রতিষ্ঠান নেই। তাই আমরা চেষ্টা করছি এমন প্রতিষ্ঠান নিয়ে আসার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বইয়ের লেখক সজিব হোসেন বলেন, করোনায় যখন ছয় মাস সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল তখন আমি বইটি লিখেছি। গত ৩৭ বছর অনেক কাগজপত্র কালেক্ট করে বইটি লিখেছি। বাজারের বিভিন্ন আইন ও বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ নিয়ে বইটি লিখেছি। বইটি পড়লে বিনিয়োগকারীরা বহু তথ্য জানতে পারবে।