২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৭:২৯
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৭:২৯

রেড অ্যালার্ট আসাম-মেঘালয়ে, বন্যায় ৩১ জনের মৃত্যু

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল এবং ভূমিধসে ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এ দুই রাজ্যে বিভিন্ন ঘটনায় অন্তত ৩১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আসামের ২৮টি জেলার অন্তত ১৯ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যটির কর্মকর্তারা জানান, ব্রহ্মপুত্র ও গৌরাঙ্গ নদীর পানি অনেক এলাকায় বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ এই দুটি রাজ্যে জারি করা রেড অ্যালার্টের সময়সীমা রবিবার পর্যন্ত বাড়িয়েছে। নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে বন্যা কবলিত জেলাগুলোর প্রশাসন নাগরীকদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

শুক্রবার মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ৮১১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের দুই দিনের মধ্যেই স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা ১৯৯৫ সালের জুন মাসের পর সর্বোচ্চ এবং ১২২ বছরের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ

এনডিটিভি জানিয়েছে, গত দুই দিনে আসামে বন্যাজনিত বিভিন্ন ঘটনায় অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মেঘালয় রাজ্যের প্রশাসন গত দুই দিনে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে। রাজ্যটির রাজধানী গুয়াহাটিতে জলাবদ্ধতার কারণে টানা তিন ধরে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। নগরীর কয়েকটি এলাকায় বেশ কয়েকটি ভূমিধসের ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে।

টানা বৃষ্টিপাতে ডিহিং নদীর পানির উচ্চতা বাড়ার পর বুধবার বাকসা জেলার সুবনখাতা এলাকার একটি সেতু আংশিক ধসে পড়েছে।

মেঘালয় সরকার রাজ্যের চারটি অঞ্চল দেখার জন্য চারটি কমিটি গঠন করেছে। প্রতিটি কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন রাজ্য সরকারের একজন করে মন্ত্রী। মহাসড়কের কিছু অংশ ধসে পড়ার পরে ন্যাশনাল হাইওয়ে ৬-এ ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই সড়কটি ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম, মিজোরাম এবং মেঘালয়ের কিছু অংশের লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিম্ন আসামের রানগিয়া বিভাগের নালবাড়ি ও ঘোগরাপারের মধ্যবর্তী লাইন ডুবে যাওয়ায় অন্তত ছয়টি ট্রেন যাত্রা বাতিল ও চারটির আংশিক বাতিল করতে হয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn