দেশের বন্যা পরিস্থিতির জন্য সরকার দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, দেশের এই পরিস্থিতির জন্য কে দায়ী? এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী সরকার। অন্য কেউ দায়ী নয়। জনগণকে ক্ষুধায় রেখে পানিতে ডুবিয়ে আপনারা ঝাড়বাতির আলোয় পদ্মা সেতু দেখাবেন, এটা দেশের মানুষ আর মেনে নেবে না।
সোমবার (২০ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতীকী অনশনে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি এবং বন্যা দুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত সহায়তা প্রদানের দাবিতে গণতন্ত্র ফোরাম এই প্রতীকী অনশনের আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, ‘সিলেটের বন্যা আমরা যা দেখছি সকালে হাঁটুপানি দুপুরে মধ্যে কোমরপানি। গোটা সুনামগঞ্জ শহর রীতিমতো পানিতে ভাসছে। আর আপনি আনন্দে আত্মহারা হয়ে পদ্মা সেতু দেখিয়ে ভাসছেন। পদ্মা সেতুর যে ভেলকিবাজি এটা জনগণ জানে যে তামাশা করছেন। জনগণের সঙ্গে একটা মশকরা করছেন ভেলকিবাজি দেখাচ্ছেন।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘সিলেট-সুনামগঞ্জে ৫০ লক্ষ মানুষ পানিবন্দি। তাদের জন্য এক থেকে দেড় টাকা, আর পদ্মা সেতুর বিচিত্র অনুষ্ঠানে ভারত থেকে এসেছেন নাকি একজন নৃত্যশিল্পী, তাকে নাকি দেবেন তিন কোটি টাকা। আর সিলেটের বন্যার্ত মানুষ সুনামগঞ্জের বন্যার্ত মানুষ, নেত্রকোনার বন্যার্ত মানুষ কুড়িগ্রামের বন্যার্ত মানুষ তাদের জন্য এক থেকে দেড় টাকা।
হুঁশিয়ারি উচারণ করে রিজভী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে বিনা চিকিৎসায় তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবেন এটা আর এদেশের মানুষ সহ্য করবে না। সময় এসেছে আপনার সরকারের গলায় গামছা দিয়ে রাজপথে লুটিয়ে নেবে বাংলার মানুষ। সেই প্রত্যয় সেই অঙ্গীকার নিয়ে এখন মানুষ রাজপথে নেমে পড়বে।
সরকারের উদ্দেশ্য বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনারা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেবেন তাহলে আজকে কেন রাত আটটা থেকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য নির্দেশ দিচ্ছেন। কারণ কোথাও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নেই। ঢাকাতে এখন এক থেকে দেড় ঘণ্টা রাতে, না হলে সকালে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। আপনি যে সকল আইন করেছেন শুধু আপনার লোকজনদের ধনী করার জন্য আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার জন্য। আপনাদের লোকজন যাতে বাংলার মানুষের ভাগ্য হরণ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে এবং এই টাকা বিদেশে পাচার করতে পারে আপনি সেই সুযোগ করে দিচ্ছেন।
সংগঠনের সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে এবং কৃষকদল নেতা আব্দুল্লাহ আল নাইমের সঞ্চালনায় প্রতীকী অনশনে বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ,আমিনুল ইসলাম, ওলামা দলের সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম, সংগঠনের সমন্বয়কারী ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ বক্তব্য দেন।