স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। বুধবার (২২ জুন) সেতু বিভাগকে সম্পূর্ণ কাজ বুঝিয়ে দিয়েছে চীনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
রাতে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যবস্থাপক দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘শতভাগ কাজ শেষ করে ঠিকাদার কোম্পানি সেতুটি বুঝিয়ে দিয়েছে। তবে এরপরও এক বছর তারা ‘ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড’ এর কাজ করবে।’
এর আগে, শুক্রবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় পরীক্ষামূলকভাবে টোল দিয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের কয়েকটি গাড়ি পার হয়। এছাড়া গত মঙ্গলবার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের সবগুলো ল্যাম্পপোস্টের বাতি একসঙ্গে প্রজ্বালন করা হয়। এতে পুরো পদ্মা সেতু আলো ঝলমলে হয়ে ওঠে।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেওয়া বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে এই প্রথম সেতুর উভয়প্রান্তে সবগুলো ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো হয়েছে। এর আগে কয়েকটি ধাপে পরীক্ষামূলকভাবে জেনারেটরের মাধ্যমে বাতিগুলো জ্বালানো হয়েছিল।
দেশের সামর্থ্য, সততা ও সক্ষমতার প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত এই সেতু শনিবার (২৫ জুন) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানের দিন সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে এসে উপস্থিত হবেন। সেখানে তিনি সেতুর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন ও সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন। পরবর্তীতে সেখান থেকে সেতু পার হয়ে শরীয়তপুর অংশে দলীয় একটি জনসভায় অংশ নেবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতিও শেষের দিকে। বিদেশি কুটনীতিকসহ দেশবরেণ্য সুধীজনরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। সমাবেশের দৃষ্টিনন্দন মঞ্চ তৈরিসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনার কাজ শেষ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মীরা। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার মূল দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
উদ্বোধনকে সামনে রেখে শুক্রবার (২৪ জুন) সকাল থেকে রবিবার (২৬ জুন) পর্যন্ত পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত সড়ক ও মহাসড়কে কাভার্ডভ্যান এবং ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ ও পুলিশ। ডিএমপির জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপপুলিশ কমিশনার ফারুক হোসেন এই তথ্য জানিয়েছেন।