গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতিকে পদ্মা সেতু উপহার দিয়েছেন। জাতি এতে গৌরবান্বিত।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত সুধী সমাবেশে অংশ নেওয়ার সময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন, যেমনটা তাঁর বাবা প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছিলেন ৭ মার্চে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সবাই বলেছিল, এই সেতুর নাম হাসিনা সেতু করতে। উনি করেননি। পদ্মা সেতু নাম রেখেছেন। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেছেন। ইতিহাসে অনেক কিছু দেখেছি। মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি। এবার পদ্মা সেতুর উদ্বোধন দেখলাম।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এখন দেশের মানুষের দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বড় বড় কাজ করেই ফেলেছেন। এখন মানুষের দিকে নজর দিতে হবে। একত্রে মিলে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি।’
এসময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আজকে আমাদের স্বপ্ন, আমাদের যোগসূত্র, প্রধানমন্ত্রীরে সাহসী উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছি, সেজন্য আমরা আনন্দিত। তবে ওনার কাছে আমার একটাই আবেদন থাকবে, এই পদ্মা সেতু দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের যেন টোল ফ্রি থাকে, আর বিদেশিদের জন্য ডবল ট্যাক্সের ব্যবস্থা থাকে। এখন প্রধানমন্ত্রীর দেশের গণতন্ত্রের দিকে নজর দিতে হবে।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত সুধী সমাবেশে অংশ নেওয়ার সময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আজ সকাল ১০টায় এই সমাবেশে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে আমন্ত্রিত ছিলেন দেশের সাড়ে তিন হাজার বিশিষ্টজন। ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, কূটনীতিক, সমাজের নানা পেশার বিশিষ্ট নাগরিকেরা। জাফরুল্লাহ চৌধুরীও অতিথিদের একজন ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী মাওয়ার সমাবেশের পর গাড়িযোগে সেতুর দিকে যান। তিনি নিজ হাতে টোল দেন। পরে ফলকের স্থানে এসে ফলক ও ম্যুরাল উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি জাজিরা প্রান্তেরও ফলক উন্মোচন করেন।
আজ সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে দুই প্রান্তে শুরু হয়েছে উৎসব। জাজিরা প্রান্তের উদ্বোধনের পর শুরু হয় মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ির সমাবেশ। সেখানে আজ ভোর থেকেই শুরু হয়েছে মানুষের ঢল।