পদ্মা সেতু চালু হলে এর ওপর মোটরচালিত যানবাহন ছাড়া কিছু চলবে না। পায়ে হেঁটে এই সেতু পার হওয়া যাবে না। যে কারণে হয়তো কাছাকাছি থেকেও স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ওপর পা রাখার সুযোগ নিলো সেতুটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া মানুষ। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর দুপাড়ে এক কিমি পর্যন্ত সর্বস্তরের জনগণ প্রবেশের অনুমতি দিয়ে অল্প সময়ের জন্য তা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সে সুযোগ পেয়ে উৎসুক জনতা ব্যারিকেড ভেঙে সেতুর ওপর উঠে পড়ে।
শনিবার (২৫ জুন) সকালে মাওয়া প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন করার পর প্রধানমন্ত্রী মাদারীপুরের শিবচরে জনসভায় যোগ দেন। তার আগে থেকেই সেখানে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার লাখ লাখ মানুষের ঢল নামে।
সকাল হতে না হতেই নৌ-সড়ক পথে বিভিন্ন জেলার মানুষ হাজির হয় জনসভায়। অনেকের হাতে ব্যানার, ফেস্টুন ছিল। লাখো মানুষ যেন উৎসবে মেতেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিবচরের জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার পর অল্প সময়ের জন্য খুলে দেওয়া হয় সেতু। তখনই মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে পদ্মা সেতু এক নজরে দেখার জন্য।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সংযুক্ত হলো নদীর এপার-ওপার। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষের যোগাযোগ সহজ হয়ে গেল। খুলে গেল সম্ভাবনার দুয়ার।