যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ পদত্যাগ করেছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ জুলাই) তারা পদত্যাগপত্র জমা দেন। সুনাক এবং জাভিদ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের সমালোচনা করে একে অপরের কয়েক মিনিটের মধ্যেই পদত্যাগ করেন। প্রভাবশালী দুই মন্ত্রীর পদত্যাগে কার্যত চাপে পড়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
ঋষি সুনাক বলেছেন, ‘সরকারি পদ ছেড়ে দেওয়ায় আমি মর্মাহত। কিন্তু এভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়া আর সম্ভব নয়।’ পদত্যাগপত্রে ঋষি সুনাক লিখেছেন, ‘জনগণ ন্যায়সঙ্গতভাবে আশা করে সঠিকভাবে, দক্ষতার সঙ্গে ও গুরুত্ব সহকারে সরকার পরিচালনা করা হবে। আমি বিশ্বাস করি যে, এসব মানদণ্ডের জন্য লড়াই করা জরুরি। আর এজন্যই আমি পদত্যাগ করেছি।’
অন্যদিকে সাজিদ জাভিদ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ওপর তার আস্থা নেই। তিনি আর বিশ্বাস করেন না যে, একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ার কারণে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার সক্ষমতা বরিস জনসনের রয়েছে। তাই তিনি আর জনসনের সরকারে থাকতে চান না।
করোনার বিধি লঙ্ঘন করে একাধিক পার্টি আয়োজন করে সমালোচিত হয়েছিলেন বরিস জনসন। এজন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি। তবে বিষয়টি নিয়ে পদত্যাগের চাপে ছিলেন তিনি। যদিও পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে উতরে যান তিনি।
তবে সরকার পরিচালনায় বরিস জনসনের সক্ষমতা নিয়ে নিজ দল ও দলের বাইরে তার ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। সম্প্রতি নতুন করে কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন তিনি। রক্ষণশীল দলের এমপি ক্রিস পিঞ্চারের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ সম্পর্কে আগে থেকেই জানলেও বরিস তাকে সরকারের ডেপুটি চীফ হুইপ করেন। এ ঘটনা প্রকাশ্যে এলে আবারও ক্ষমা চান বরিস জনসন।
এদিকে, ঋষি সুনাক বরিস জনসনের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার পরে শিক্ষামন্ত্রী নাদিম জাহাভিকে চ্যান্সেলর হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে সাজিদ জাভিদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন জনসনের চিফ অফ স্টাফ স্টিভ বার্কলে। সূত্র: বিবিসি