বিদ্যুৎ সংকটের এই সময়ে সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময়সীমা কমানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
সোমবার (১৮ জুলাই) তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।
সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের অনেক দেশ জ্বালানি ব্যয় কমাচ্ছে। ডিজেল অনেক চড়া দামে কেনার ফলে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাই ব্যয় সংকোচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা লোডশেডিংয়ে যাচ্ছি। অফিস টাইম কমানো, ওয়ার্ক ফ্রম হোম, অফিস ভবনে বিদ্যুৎ খরচ সীমিত করা হবে। এমাসের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, সচিবালয়েও অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ অপচয় বন্ধে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এর আগে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, ‘বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে’ মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে এলাকাভিত্তিক দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং হবে।
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে সাময়িক সময়ের জন্য এই লোডশেডিং হবে। আগেই সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, সাময়িক লোডশেডিংয়ের সময় সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ থাকবে।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী জানিয়েছেন, দেশে ডিজেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করা হয়েছে।
করোনার অভিঘাতের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিষয়টি নিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে বিদ্যুতের যে চাহিদা রয়েছে, উৎপাদন হচ্ছে তার চেয়ে প্রায় ৯ শতাংশ কম, যা লোড ব্যবস্থাপনার (লোডশেডিং) মাধ্যমে সমন্বয় করতে হচ্ছে।