মানুষ ঘর বাঁধে সুখের আশায়। কেউ সুখী হয়, কেউ হয় না। সুখের আসলে সংজ্ঞা কি সেটা স্পষ্ট করে বলা মুশকিল। তবে সুখ যে রহস্যময় আর জটিল এক অনভূতি সেটা স্পষ্ট। সেইসঙ্গে সুখ যেন মরীচিকাও। নইলে যে মানুষের সঙ্গে সুখের আশায় ঘর বাঁধা তার সঙ্গে ২৩ বছর কাটিয়েও কেন আলাদা হতে হয়?
কি করে আলাদা হয়ে যায় দুটি মন? কোথাও কি দ্বিধার তৈরি হয় না? কোথাও কি টান পড়ে না একসঙ্গে থেকে যাওয়ার? এ জীবন তো অনন্তকালের নয়। তবু কেন দুইদিকে বসবাসের জন্য পথ ধরা? উত্তর জানা নেই। নর নারীর মনের অদ্ভূত খেয়ালের সব উত্তর মেলে না।
মিলছে না অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদ ও এস আই টুটুলের ২৩ বছরের সংসার ভাঙার কারণও। এস আই টুটুল ও তানিয়া আহমেদ; শোবিজ জগতে তারা পরিচিত ছিলেন ‘হ্যাপি কাপল’ নামে। দুই দশকের বেশি সময় ধরে সংসার করেছেন। ভক্তদের কাছেও তাদের গ্রহণযোগ্যতা দারুণ। কিন্তু দাম্পত্য জীবনের লম্বা পথচলায় ছেদ টেনেছেন তারা।
বিবাহবিচ্ছেদের খবরটি নিশ্চিত করেছেন তানিয়া আহমেদ। তিনি জানান, তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে, এটা সত্য। নিয়মের বাইরে গিয়ে টুটুল কিছু করেননি। তবে ডিভোর্সের নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেননি অভিনেত্রী-নির্মাতা।
এদিকে এস আই টুটুল জানিয়েছেন, গত বছরই আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। এর আগে প্রায় ৫ বছর তারা আলাদা ছিলেন। মতের মিল না হওয়ায় দু’জনের সম্মিলিত সিদ্ধান্তেই বিচ্ছেদ করেছেন দম্পতি।
কেন এই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত, সে নিয়ে কথা বলেননি তিনি। তানিয়াও দেশি গণমাধ্যমে প্রাক্তনের জন্য দিয়েছেন শুভেচ্ছা বার্তা। ডিভোর্স নিয়ে কিছু বলেননি। নিজেদের সম্পর্কের তিক্ততার কথা হয়তো সবার সামনে এনে অতীতের সুন্দর সময়গুলোকে ধূসর করতে চান না তারা।
টুটুল ও তানিয়া বিয়ে করেছিলেন ১৯৯৯ সালে। এরপর থেকে সুখেই সংসার করে আসছিলেন। তাদের ঘর আলো করে পৃথিবীতে আসে দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তিন সন্তানকে নিয়ে তানিয়া-টুটুলের সুখের অন্ত ছিল না। আজ ১৮ জুলাই জানা গেল এস আই টুটুলের দ্বিতীয় বিয়ের খবর। তানিয়া আহমেদের সঙ্গে এক বছর আগেই বিচ্ছেদ হয়ে গেছে তার। এবার তিনি শুরু করলেন দ্বিতীয় সংসারের যাত্রা।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শারমিন সিরাজ সোনিয়াকে বিয়ে করেছেন তিনি। গত ৪ জুলাই তাদের বিয়ে হয়। টুটুলের মতো সোনিয়ারও দ্বিতীয় বিয়ে এটি।