পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভের মধ্যেই শ্রীলঙ্কার অষ্টম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। সকালে প্রধান বিচারপতি জয়ন্ত জয়সুরিয়ার কাছে শপথ নেন রনিল। এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্লামেন্ট স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনা
বুধবার গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেন লঙ্কান পার্লামেন্টের দুইশ’ ২২ সদস্য। নির্বাচনের পরপরই সংকটজনক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেন নয়া রাষ্ট্রপতি। জুনে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার আগে পাঁচ মেয়াদে স্বল্প সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন রনিল।
গেল ১৪ জুলাই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ের পদত্যাগের পর নেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব। তার পদত্যাগ দাবিতে কলম্বোর গলফেস ময়দানে এখনো বিক্ষোভ চলছে। জন অসন্তোষ রুখতে কঠোর পদক্ষেপের দিকে যেতে পারেন নয়া প্রেসিডেন্ট, এমন শঙ্কা অনেকের। এ অবস্থায় সুর পাল্টেছে ভারত। প্রথমে বিক্ষোভকারীদের প্রতি নমনীয়তা দেখালেও সংকটময় পরিস্থিতিতে দেশটির নতুন সরকারের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে নয়াদিল্লী।
বুধবার (২০ জুলাই) শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রনিল বিক্রমাসিংহে। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এলাকায় এখনো স্বল্পসংখ্যক বিক্ষোভকারী অবস্থান করছেন। সেখানকার ভবনের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে তাঁদের ‘রনিল বিদায় হও’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।
গত সপ্তাহে বিক্ষোভকারীরা অধিকাংশ সরকারি ভবনের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেন। তবে ‘গল ফেস’ নামে পরিচিত সমুদ্রতীরবর্তী ছোট্ট এলাকায় অবস্থিত প্রেসিডেন্টের সচিবালয় এখনও বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে
বিক্রমাসিংহের শক্তিশালী পূর্বসূরিদের সফলভাবে উৎখাত করেন বিক্ষোভকারীরা। এখন শ্রীলঙ্কাকে বিক্রমাসিংহের সঙ্গে ‘আপোস’ করতে হচ্ছে দেখে হতাশ অনিল নামের এক ব্যক্তি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘এই লোকগুলো ৭০ বছর ধরে দেশ শাসন করেছেন। তাঁরা চুরি করে আসছেন। আমরা কীভাবে আশা করি, ভালো কিছু হবে।’