ভারতের রাজধানী দিল্লিতে একটি বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়ার সময় আটক হয়েছেন দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) তার মা ও কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় রাজপথে বিক্ষোভ করে দলটির নেতা ও কর্মীরা। সেসময় পার্লামেন্ট ভবন ও শীর্ষ সরকারি দফতরগুলোর কাছে অবস্থিত কড়া নিরাপত্তার আওতায় থাকা রাজপথ অ্যাভিনিউতে বসে পড়েন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে বিরোধী নেতাদের লক্ষ্যবস্তু বানানোসহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে বিক্ষোভ শুরু করেন তিনি। সেখান থেকে তাকে আটক করা হয়।
রাহুল গান্ধী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর একটি সাদাকালো ছবি শেয়ার করেছে কংগ্রেস। দলের টুইট বার্তায় লেখা হয়, ‘ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটছে’। আটক হওয়ার আগে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আমি গ্রেপ্তার হওয়াকে বিবেচনা করছি না, আমি আন্দোলন করছি মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে, বেকারত্বের বিরুদ্ধে, জনগণের কণ্ঠস্বরের জন্য…’। তখন তিনি একাই বসে ছিলেন। তার সঙ্গে থাকা অন্যদের ততক্ষণে গ্রেফতার করা হয়ে গেছে। তখন দেখা যায় রাহুল গান্ধী নিজের ফোন বের করে পুলিশ সদস্যদের ছবি তুলছেন।
প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অচলাবস্থা চলার পর কংগ্রেসের আইনপ্রণেতাকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ সদস্যরা তাকে ধরে একটি বাসে তুলে নেয়। সেখানে অন্যদেরও আটক করে রাখা হয়। পুলিশ সদস্যরা টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় রাহুল গান্ধী বলেন, ‘ভারত একটি পুলিশি রাষ্ট্র, (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র) মোদি একজন রাজা’।
দিল্লির অপর প্রান্তে তার মা ও কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীকে দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্ত সংস্থাটির কার্যালয়ে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে ছিলেন তার মেয়ে প্রিয়াংকা গান্ধী ভদ্র। পার্লামেন্টে বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার আগে তাদের সঙ্গে রাহুল গান্ধীও ছিলেন।
কংগ্রেসের চার আইনপ্রণেতাকে পার্লামেন্টের পুরো বর্ষা মৌসুমে নিষিদ্ধ রাখার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন দলটির আইনপ্রণেতারা। এই আইনপ্রণেতারা রাষ্ট্রপতি ভবন অভিমুখে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করলেও তাদের বিজয় চক মোড়ে আটকে দেওয়া হয়। সূত্র: এনডিটিভি