ভারত পুরনো এলসির বিপরীতে গম রফতানি অব্যাহত রাখায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বেড়েছে। যার ফলে দেশের বাজারে সরবরাহ বাড়ায় গমের দাম কেজিতে ৪-৫ টাকা কমেছে।
11
বন্দরে গম কিনতে আসা পাইকারি পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বন্দর দিয়ে গম আমদানি কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গিয়েছিল। বর্তমানে আমদানি কিছুটা বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। এতদিন যে গম ৪০ থেকে ৪১ টাকা বিক্রি হয়েছিল, এখন তা ৩৬ থেকে ৩৭ টাকায় নেমেছে। এতে গম কিনতে যেমন সুবিধা হয়েছে তেমনি মিলগুলোতে বেশি সরবরাহ করতে পারছি।
h3
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিজ দেশে সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১৩ মে থেকে গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ভারত সরকার। ফলে বন্দর দিয়ে গম রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। তবে ১২ মে পর্যন্ত হওয়া এলসির গম রফতানির আশ্বাস দিয়েছিল তারা। পরে পুরনো এলসির গম রফতানি শুরু করলেও আবারো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে দেশের বাজারে গমের দাম বেড়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, গত ২৩ মে পুরনো এলসির গম রফতানির অনুমতি দেয় ভারত। প্রক্রিয়া শেষে ২৯ মে থেকে পুরনো এলসির গম রফতানি শুরু হয়। তবে সম্প্রতি পুরনো এলসির বিপরীতে গম রফতানির অনুমতি দেয়ায় আমদানি বেড়েছে। এছাড়া যেসব আমদানিকারক রেলপথে গম আমদানির এলসি করেছিলেন সেসব গম রেলপথ বাদ দিয়ে সড়কপথে রফতানি অব্যাহত রেখেছে ভারত। এতে বন্দর দিয়ে আমদানি বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় সররবাহ বাড়ায় দাম কমেছে।
7
এদিকে ব্যবসায়ীরা জানায়, ছয় মাস আগেও দেশে প্রতি মণ গমের দাম ছিল মানভেদে ৯৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরু হলে গমের দাম বাড়তে বাড়তে দ্বিগুণ হয়ে যায়। এতে দেশে আটা ও গমের দামও বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। খাদ্যশস্য হিসেবে চালের পর দেশে গমের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকায় পণ্যটির মূল্যবৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। গমের দাম কমতে থাকায় দ্রুতই আটা ও ময়দার দাম কমে আসতে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।