ভোটের অনুকূল পরিবেশ ও সকল দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে কাজ করবে নির্বাচন কমিশন। তবে তারা কোনো দলকে নির্বাচনে আসতে বাধ্য করবে না।
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে এ মতামত দেয় নির্বাচন কমিশন।
একইসাথে নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে তা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের সংলাপে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের দাবি ছিল রাজনৈতিক দলের। এর প্রেক্ষিতে আরো বেশকিছু মতামত দিয়েছে ইসি।
মতামতগুলো হলো- নির্বাচন কমিশন প্রতিটি দলকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানাবে। তবে কোনো দলকে নির্বাচনে আসতে বাধ্য করবে না।
ভোটাররা যাতে ভোটের অনুকূল পরিবেশ পায় এবং সকল দল সমান সুযোগ পায় তা নিশ্চিতে উদ্যোগ নেবে ইসি। ভোট কারচুপি প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রির্টানিং কর্মকর্তার ক্ষেত্রে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ইসির কর্মকর্তা এবং অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়ার জন্য সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে।
তবে ইসির মত অর্থশক্তি ও পেশি শক্তির ব্যবহার বন্ধে রাজনৈতিক সমঝোতা প্রয়োজন বলে নির্বাচন কমিশন মনে করে।
দেশি বিদেশী পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেয়ার পক্ষে নির্বাচন কমিশন। ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যবহার করা হবে। নির্বাচন কমিশন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা যৌক্তিক বলে মনে করে।
সংবিধানের আলোকে নির্বাচনকালীন সময়ে চারটি মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে ন্যস্ত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে। নির্বাচনের আগে ভুয়া মামলা, ধরপাকড় সংক্রান্ত নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়গুলো রোধে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে ইসি।
তবে নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে তা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।