২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৬:৪৩
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৬:৪৩

করমজলে ডিম থেকে ফুটলো ৩৮টি কুমিরের বাচ্চা

দেশের একমাত্র সরকারী কুমির প্রজনন কেন্দ্র পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে মা কুমির পিলপিলের ৩৮টি ডিম থেকে শতভাগ বাচ্চা ফুটেছে। সোমবার (২২শে আগস্ট) দুপুরে ডিজিটাল ইনকিউবেটরে রাখা ৩৮টি ডিম থেকে এক এক বাচ্চা ফুঠে বের হয়ে আসে। 

এর আগে গত পহেলা জুন ভোরে মা কুমির পিলপিল করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের পুকুর পাড়ে বালুর মধ্যে ৩৮টি ডিম পাড়ে। এসব ডিম সংগ্রহ করে স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরী ডিজিটাল ইনকিউবেটরে রাখা হয়। ৮৩ দিন পর সোমবার ৩৮টি ডিম থেকেই কুমিরের বাচ্চা ফুটলো। এবারই প্রথম এই প্রজনন কেন্দ্রে কুমিরের ডিম থেকে শতভাগ বাচ্চা ফুটেছে। সদ্যজাত এই ৩৮টি কুিমর ছানা এখন করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে কুমির বিশেষজ্ঞরা দেখভাল করছেন।

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, করমজলে দেশের একমাত্র কুমির প্রজনন কেন্দ্রটি ২০০০ সালে যাত্রা শুরু করে। প্রথমে দু’টি মা কুমির পিলপিল, জুলিয়েট ও একটি পুরুষ কুমির রোমিও নিয়ে লবন পানি প্রজাতির কুমিরের বংশ বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করার পর ২০০৫ সালে মা কুমির জুলিয়েট প্রথম ডিম পাড়ে। এ পর্যন্ত করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্রে দু’টি মা কুমিরের ডিম থেকে ৩৪২টি কুমির ছানা জন্ম নিয়েছে।

এসব কুমিরের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বন বিভাগের সাফারি পার্ক ও জাতীয় উদ্যানসহ সুন্দরবনের নদী খালে ২৩৩টি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে মুজিব শতবর্ষে সুন্দরবনে এক সাথে ১০০টি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn