নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আবারও হাসপাতালে নেয়া হবে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হবে তাঁকে। বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরআগে গত ২২শে আগস্ট মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যান তিনি।
৭৮ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সবশেষ গত ১১ই জুন বেগম জিয়ার হার্টে ব্লক অপসারণ করে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়েছিল।
২০১৮ সালের ফেব্র“য়ারি মাসে জিয়া এতিম খানা দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে কারাগারে যেতে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাতেও তাঁর সাজার রায় আসে।
দেশে করোনা অতিমারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫শে মার্চ খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয় সরকার। কারাগার থেকে বেরিয়ে তিনি গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ ওঠেন। এরপর থেকে তিনি সেখানেই আছেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়াকে কয়েক দফায় বসুন্ধরায় এভার কেয়ার হাসপালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। তিনি বহু বছর ধরে হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে ব্লক, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
এরমধ্যে গত বছর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথাও জানান চিকিৎসকরা।
নানা জটিলতার উন্নত চিকিৎসার দাবি জানিয়ে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কয়েক দফা আবেদন করেছিলেন তার ভাই শামীম এস্কান্দার। কিন্তু সাময়িক মুক্তির শর্ত বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিবারই তা নাকচ করেছে সরকার।