এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের হাইভোল্টেজ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে নিল ভারত। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৪৭ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাঁচ উইকেট হারিয়ে দুই বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে ভারত।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় মাত্র ১৫ রানেই অধিনায়ক বাবরকে হারায় পাকিস্তান। ৯ বলে ১০ রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের শিকার হন তিনি। এরপর পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আবেশ খানের বলে উইকেটরক্ষক কার্তিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফখর জামান (১০)।
চাপের মুখে জুটি গড়েন রিজওয়ান-ইফতিখার। তবে তাদের জুটিতে রানের গতি বাড়তে থাকলে আঘাত হানেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। ভারতীয় পেস অলরাউন্ডারের বলে উইকেটরক্ষক দীনেশ কার্তিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইফতিখার (২৮)। এরপর নিজের পরবর্তী ওভারে জোড়া আঘাত হানেন হার্দিক। নিজের শেষ ওভারের প্রথম বলেই তিনি বিদায় করেন রিজওয়ানকে। পাকিস্তানি ওপেনার ৪২ বলে ৪৩ রানের সাবধানী ইনিংস খেলে ফেরেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৪টি চার ও ১টি ছয়।
১১৪ রানে ৭ উইকেট হারানো পাকিস্তান এরপর লড়াকু পুঁজি পর্যন্ত গেছে শেষ উইকেট জুটির কল্যাণে। হারিস রউফ আর শাহনেওয়াজ দাহানি ৮ বলে যোগ করে দেন মূল্যবান ১৯ রান। রউফ ৭ বলে ১৩ আর দাহানি ৬ বলেই ২ ছক্কায় করেন ১৬ রান। ১৯তম ওভারে জোড়া উইকেট শিকার করা ভুবনেশ্বরই ছিলেন ভারতের পক্ষে সবচেয়ে সফল। ৪ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন এই পেসার। ৩টি উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া।
১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় ভারত। অভিষিক্ত নাসিম শাহর করা দ্বিতীয় বলে বোল্ড হন লোকেশ রাহুল। এরপর বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা বেশ কয়েকবার পরাস্ত হয়েছেন। তবে ভাগ্যগুণে আউট হওয়া থেকে বেঁচে গেছেন দুজনই। ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে ভারত তোলে ১ উইকেটে ৩৮ রান।
সপ্তম ওভারে শাদাব খান দেন মাত্র ৩ রান। রানের চাপ কমাতে পরের ওভারে মোহাম্মদ নেওয়াজের ওপর চড়াও হন রোহিত। তবে ছক্কা মারার এক বল পর আরেকটি ছক্কা হাঁকাতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনেন ভারতীয় দলপতি।
মিডঅফে তুলে মারতে গিয়ে ঠিকমতো ব্যাটে-বলে করতে না পেরে লংঅনে ক্যাচ হন রোহিত। তাতেই ১৮ বলে ১২ রানের ধীরগতির ইনিংসটি থেমে যায় তার। এক ওভার পর আরেক সেট ব্যাটার কোহলিকেও ফেরান নেওয়াজ। ৩৪ বলে ৩৫ করে লংঅফে ধরা পড়েন কোহলি।
১১ থেকে ১৪-চার ওভারে মাত্র ২৭ রান তুলতে পারে ভারত। সেই চাপ থেকে সূর্যকুমার ১৫তম ওভারে চড়াও হতে চান নাসিম শাহর ওপর। কিন্তু ওভারের দ্বিতীয় বলটি ক্রস খেলতে গিয়ে পুরোপুরি মিস করে বসেন ডানহাতি এই ব্যাটার, বোল্ড হয়ে ফেরেন ১৮ বলে ১৮ করে।
দলীয় ৮৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে ভারত যখন চাপে, সে অবস্থায় জাদেজার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে চাপমুক্ত করার কাজ করেন মারকুটে হার্দিক পাণ্ডিয়া। ২৯ বলে ৫২ রান তুলে কাজের কাজটি করে যায় এই জুটি। জাদেজা ২৯ বলে ৩৫ রান করে আউট হলেও মোহাম্মদ নওয়াজের করা শেষ ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে প্রতিশোধের জয় তুলে নেন পাণ্ডিয়া। অপরাজিত থাকেন ১৭ বলে ৩৩ রান নিয়ে। পাঁচ উইকেটের জয় তুলে নেয় ভারত। দুই বলে হাতে রেখেই।