২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৪:৪৭
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৪:৪৭

শীতের হালকা আমেজ এসে গেছে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই। হঠাৎ করেই দিনের সর্বনিম্ম তাপমাত্রা কমে গেছে। অথচ সূর্যের তেজে দিনের বেলায় বেশ গরম। ঋতু বদলের এই সময়তে জ্বর, সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। করোনা আবহে কোভিড-১৯ কিংবা ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে বাঁচতে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললেই সহজেই সুস্থ থাকতে পারবেন।

দেহকে আর্দ্র রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে চট করে কোনও ভাইরাসই আক্রমণ করতে পারবে না। এর জন্য জলীয়ভাগ বেশি রয়েছে এমন খাবার এবং পানি খেতে হবে প্রচুর। মনে রাখবেন শীতকালে পানি খাওয়ার তৃষ্ণা কমলেও শরীরে পানির চাহিদা কিন্তু বেড়ে যায়। এছাড়া সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে পানির পাশাপাশি স্যুপ, ডাব, হারবাল চা খেতে পারেন।

* রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে জিংক একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। এটি শরীরে শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে যেটি জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। করোনা আবহে তাই জিংক উপাদান সমৃদ্ধ খাওয়ার খান। দেখা গিয়েছে এই উপাদান ফ্লু ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং এর কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। দুগ্ধজাত খাবার, ছোলা, বাদাম, মুসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে জিংক উপাদান রয়েছে।

রসুন, আদা, হলুদ এগুলোতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। এছাড়া চিনি ছাড়া লিকার চা কিংবা গ্রিন টিও খেতে পারেন। অথবা আদা ও হলুদ দেওয়া চা-ও এই সময় খুব উপকারী। চিনির বদলে মধুও ব্যবহার করতে পারেন। মধু দেহে তাপসঞ্চয়ে অনেকটা সাহায্য করে। এছাড়াও তুলসি পাতা ও লেবু দিয়েও চা বানিয়ে খেতে পারেন। তুলসি পাতা ও মধু একসঙ্গে খেলেও সর্দি-কাশির নিরাময় হয়।

* সর্দি-কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে মুক্তি পেতে নুন পানিতে গার্গল কিংবা ভাপও নিতে পারেন। উষ্ণ বাতাস সর্দি কমাতে এবং ফুসফুস সচল রাখতে সহায়তা করে।

* ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে পর্যাপ্ত বিশ্রামের প্রয়োজন। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং দ্রুত ফ্লু থেকে আরোগ্য লাভ করতে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

Facebook
Twitter
LinkedIn