চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কিংবদন্তি গীতিকবি গাজী মাজহারুল আনোয়ার। বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরেই সমাহিত করা হয়েছে তাকে। এর আগে গতকাল সকাল ১০টার দিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হয়। এ সময় সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। চোখের জল ও শ্রদ্ধায় তাকে শেষ বিদায় জানান সহকর্মী, সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন থেকে শুরু করে ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীরা।
শহীদ মিনারে গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মাননা গার্ড অব অনার দেয়া হয়। বেলা ১১টার দিকে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সর্ব সাধারণের জন্য শ্রদ্ধা জানাতে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। শ্রদ্ধা জানাতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন সংগীত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। এ সময় তিনি বলেন, গাজী ভাইয়ের লেখা হাজার হাজার গানের মধ্যে ৭-৮ হাজার গান আমি নিজেই গেয়েছি। আমি তার জন্য আল্লাহর কাছে জান্নাতের সর্বোচ্চ জায়গা কামনা করি। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মেয়ে দিঠি আনোয়ার বলেন, যারা আমার বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা রইলো।
এ সময় তার বাবাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা ১২টায় গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মরদেহ নেয়া হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি)। সেখানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তার মরদেহ নেয়া হয় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়। সবশেষে গুলশানের আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাজা শেষে গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। ৪ঠা সেপ্টেম্বর সকাল ৭টায় রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি গীতিকার, সুরকার, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার। পরে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।